বুধবার (২৯ মে) মোদির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আপাতত কোনো ধরনের দায়িত্ব নিতে অনীহা জানিয়েছেন অরুণ জেটলি। এর পেছনে যুক্তি দেখিয়েছেন নিজের শারীরিক অসুস্থতার।
৬৬ বছর বয়সী অরুণ জেটলি গত দেড় বছর ধরেই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়েছে তার। এ অবস্থায় লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী না হলেও প্রচারণার গুরুদায়িত্বে ছিলেন তিনি।
তবে, নির্বাচনে দলের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি দিয়েছেন অরুণ জেটলি। চিঠির একটি কপি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টেও প্রকাশ করেছেন তিনি।
চিঠিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, গত পাঁচ বছর আপনার (মোদী) সরকারের অংশ হতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মান ও শিক্ষামূলক ছিল।
‘গত ১৮ মাস আমি জটিল শারীরিক সমস্যা ভুগছি। চিকিৎসকরা এর বেশির ভাগই সারিয়ে তুলেছেন। নির্বাচনী প্রচারণা শেষে আপনি (মোদী) কেদারনাথ মন্দির যাওয়ার সময় মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলাম, প্রচারণার সময় দায়িত্ব পালন করেছি, ভবিষ্যতেও করবো। তবে, আপাতত এসব থেকে দূরে থাকতে চাই। ’
অরুণ জেটলি লিখেছেন, আপনাকে (মোদী) আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার জন্য আমাকে কিছুদিন সময় দেওয়া হোক। এ কারণে, আমাকে নতুন সরকারেও না রাখা হোক।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। এ দিনই জানা যাবে, কারা থাকছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়।
অরুণ জেটলির অবর্তমানে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পীযূষ গোয়েল। মন্ত্রিত্বের দৌঁড়ে তাকেই এগিয়ে রাখছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৯
একে