জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি) যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন বাণিজ্য সুবিধাগুলোর একটি। এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর হাজার হাজার পণ্য বিনাশুল্কে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের সুবিধা দেওয়া হয়।
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের সুসম্পর্কের কথা প্রায়ই শোনা যায়। মোদী দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসায় অনেকেই আশা করেছিলেন, ট্রাম্প হয়তো সিদ্ধান্ত বদলাবেন। কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শপথ নেওয়ার একদিন পরই জিএসপি সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
শুক্রবার (৩১ মে) এক ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, ভারত তার বাজারে যুক্তরাষ্ট্রকে সমমূল্যের ও গ্রহণযোগ্য কোনো সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিচ্ছে না। তাই, আগামী ৫ জুন থেকে সুবিধাভোগী উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তাদের জিএসপি সুবিধা বাতিল করাই ঠিক হবে।
যদিও, বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মার্কিন সংসদ সদস্য এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের দাবি, এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতি বছর ৩০ কোটি ডলারের বেশি অতিরিক্ত শুল্ক হিসেবে খরচ হবে।
গত ৪ মার্চ ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিলের বিষয়ে প্রথমবারের মতো সতর্ক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দেওয়া দুই মাসের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ৩ মে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) মার্কিন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতে সমান সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে জোর দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
জিএসপির আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে গাড়ি, টেক্সটাইল যন্ত্রাংশসহ প্রায় দুই হাজার পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায়। সম্প্রতি কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৭ সালে এ সুবিধার সবচেয়ে বড় উপকারভোগী দেশ ছিল ভারত। ওই বছর তারা ৫.৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিনাশুল্কে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করে। ১.৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করে তুরস্ক ছিল এ তালিকায় পঞ্চম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৯
একে