আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কাজের সন্ধানে বা উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রগামী সব আবেদনকারীকে ই-মেইল, ফোন নাম্বারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডির বিভিন্ন তথ্য জমা দিতে হবে। তবে, কিছু সংখ্যক কূটনীতিক ও কর্মকর্তা এ ঘোষণার আওতামুক্ত থাকবেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে যাচাই প্রক্রিয়া আরও নিখুঁত করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা সবসময় নিরাপদ ও বৈধপন্থায় ভ্রমণের পক্ষে।
আগে, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদেরই শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য দিতে হতো। এখন থেকে এ প্রক্রিয়ার আওতায় আসছেন সব ধরনের আবেদনকারীই।
কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি বছর প্রায় ১৫ মিলিয়ন মানুষকে এ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে হবে।
গত বছরের মার্চে ট্রাম্প প্রশাসন প্রথমবার ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিস্তারিত চাওয়ার প্রস্তাব তুলেছিল। ওই সময়, আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন নামে একটি নাগরিক অধিকার বিষয়ক সংগঠন জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারিতে খুব একটা লাভ হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। বরং, এতে মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করবে।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিশ্রতি ছিল, দেশটির অভিবাসন প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। গত শুক্রবার (৩১ মে) অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে মেক্সিকোর সব ধরনের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও, ট্রাম্পের বেশিরভাগ উদ্যোগই দেশ-বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৯
একে