বুধবার (৫ জুন) বিক্ষোভকারীদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
জানা যায়, সোমবার (৩ জুন) বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায় টিএমসি বাহিনীর সৈন্যরা।
পরে মঙ্গলবার (৪ জুন) টিএমসি নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান জানান, আগামী নয় মাসের মধ্যেই দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিল। সামরিক বাহিনীই তাদের ওপর হামলা চালিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে।
এ হামলার পর থেকেই সুদানের সামরিক বাহিনীর প্রতি নিন্দা জানিয়ে আসছে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
বুধবার টিএমসি নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান দেশটির সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিক্ষোভকারীদের ওপর টিএমসি বাহিনীর সদস্যদের হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ততেই ফিরে যেতে রাজি আছি।
দারিদ্র্যপীড়িত সুদানে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকেই রুটি ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে দেশটির রাষ্ট্রপতি বশির আল-ওমরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে নিরাপত্তা বাহিনীর বলপ্রয়োগের কারণে এই বিক্ষোভ উল্টো তার পতনের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নেয়।
গত ৬ এপ্রিল থেকে খার্তুমে সামরিক বাহিনীর সদর দফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এসব ঘটনার জেরে ১১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট বশিরের পদত্যাগ ঘোষণা করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এতে আনন্দে মেতে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। তবে সে আনন্দ ছিল কিছু মুহূর্তের মাত্র। কারণ বশিরের পদত্যাগের পর ক্ষমতা নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী।
পরে সামরিক বাহিনীকে বশিরেরই অংশ হিসেবে দাবি করে ফের বিক্ষোভ করতে থাকে আন্দোলনকারীরা।
১৯৮৯ সালে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থাকাকালে বশির আল-ওমর ‘অভ্যুত্থান’ ঘটিয়ে তৎকালীন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সাদিক আল-মাহদীকে উৎখাত করেন। পরে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেন তিনি। কয়েকবছর ধরে তার বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভ্যুত্থান’ চেষ্টা হয়েছিলো। কিন্তু সেসব উতরে ৩০ বছর ধরে দারিদ্র্যপীড়িত দেশটির ক্ষমতায় আসীন ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৯
এসএ/