টেকনোলজির যুগে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশের শিশুরাই টেকনোলজিক্যাল ডিভাইসের প্রতি আসক্ত। এটা সত্যি যে, টেকনোলজি বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে।
তবে এর অনেক নেতিবাচক দিকও রয়েছে। টেকনোলজি থেকে অনেক কিছু শেখা যায় বটে, তবে এর একটা নির্দিষ্ট বয়সসীমা রয়েছে। শিশুদের বিকাশের সময়টাই যদি তারা এসব টেকনোলজিক্যাল ডিভাইসের পেছনে দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের সৃজনশীল বিকাশ যেনো অনেকটা বাধাগ্রস্তই হয়।
এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন সিলিকন ভ্যালির দুই বিশেষজ্ঞ।
টেকনোলজি বিশেষজ্ঞ পিয়ার লরেন্ট বলেন, স্ক্রিনের সামনে বেশি সময় ব্যয় করলে এটি শিশুদের ধারণ ক্ষমতা, মানসিক বিকাশ ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে কোনো সহায়তা করে না। এছাড়া বিভিন্ন সৃজনশীল অ্যাপ ব্যবহার মানে এই না যে, শিশুদের সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, টেকনোলজিক্যাল ডিভাইস ব্যবহার না করে শিশুরা যদি ছবি আঁকা, গাছ লাগানো কিংবা অন্যান্য কাজগুলোতে বেশি সময় দেয়, তাহলেই বরং তাদের সঠিক মানসিক বিকাশ ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
মিডিয়া বিশেষজ্ঞ মার্ভে লাপুস বলেন, হ্যাঁ, এটা সত্যি যে টেকনোলজি শিশুদের অনেক কিছু জানতে সহায়তা করে। তবে তার মানে এ নয় যে, সারাদিনই তাদের এ ধরনের ডিভাইসের পেছনে সময় ব্যয় করতে হবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের ডিভাইস ব্যবহারের যেমন ইতিবাচক দিক রয়েছে, ঠিক তেমনি রয়েছে নেতিবাচক দিকও। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ডিভাইস ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর যখন তারা এ ধরনের ডিভাইসগুলো সঠিকভাবে ব্যবহারের উপযোগী হবে, তখন তাদের এগুলো ব্যবহার করতে দেওয়া উচিৎ।
বাংলাদেশেও একি চিত্র দেখা যায়। এখানকার শিশুরাও টেকনোলজিক্যাল ডিভাইসের প্রতি অনেকটাই আসক্ত। এছাড়া অভিভাবকরাও অনেক সময় শিশুদের কান্না থামাতে কিংবা তাদের ব্যস্ত রাখতে এ ধরনের ডিভাইসের ওপরই নির্ভর করে থাকেন। এতে দিনশেষে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরাই।
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, পাঁচ বছর বয়সী পর্যন্ত শিশুদের দৈনিক এক ঘণ্টার বেশি সময় টেকনোলজিক্যাল ডিভাইস ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
সিলিকন ভ্যালি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার প্রযুক্তিস্বর্গ খ্যাত একটি এলাকা। এটি উন্নতমানের প্রযুক্তি, প্রযুক্তিগত আবিষ্কার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৯
এসএ/