সে পাঞ্জাবের সাংরুর জেলার ভগবানপুরা গ্রামের বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে খেলতে বাড়ির পাশের একটি গভীর কুয়ায় পড়ে যায় শিশুটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, কুয়ার মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকায় ফতেহবীর বুঝতে পারেনি সেখানে কী আছে। সে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।
শিশুটি কুয়ার ১২৫ ফুট গভীরে আটকে ছিল। প্রথমে, তার মা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হওয়ায় আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। তারাও না পারলে পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়।
জানা যায়, কুয়াটি সরু হওয়ায় এত গভীরে শিশুটির কাছে চার দিন ধরে কোনো খাবার পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে এর মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ চালু রেখেছিলেন উদ্ধারকর্মীরা। শিশুটিকে বের করতে পাশে ৩৬ ইঞ্চি চওড়া আরেকটি কুয়া খনন করা হয়।
অবশেষে, কুয়ায় আটকে পড়ার পঞ্চম দিনে মঙ্গলবার (১১ জুন) ভোর সাড়ে ৫টায় তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী।
উদ্ধারের পর পরই শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, এ নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। ঘটনাস্থলের পাশে হেলিকপ্টার থাকলেও শিশুটিকে সড়কপথে গ্রাম থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, উদ্ধার অভিযানে এত সময় নেওয়ায় সোমবার রাতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি উদ্ধার অভিযানে সার্বক্ষণিক নজর রেখেছেন। পাশাপাশি, রাজ্যে এ ধরনের কোনো কুয়ার মুখ যেন খোলা না থাকে, সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
একে