এক লাখ বর্গমিটার আয়তনের এ ডুবো পার্কের জন্য তৈরি করা হয়েছে সুবিশাল কৃত্রিম প্রবালদ্বীপ, স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য শিল্প ভাস্কর্য, বাহরাইনের ঐতিহ্যবাহী ‘পার্ল মার্চেন্টস হাউজের’ রেপ্লিকাও বসানো হয়েছে পানির নিচে।
তবে, সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হিসেবে থাকছে একটি গোটা বোয়িং ৭৪৭ প্লেন।
সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এ বিশাল প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকেই পর্যটকরা বৈধ ডাইভিং সেন্টারের মাধ্যমে ভ্রমণের বুকিং দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন উপসাগরীয় দেশটির পর্যটনমন্ত্রী জায়েদ বিন রশিদ আল জায়ানি।
এদিকে, পানির নিচের এ সুবিশাল প্রকল্প পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে দাবি করেছেন অনেক পরিবেশবাদী।
সামুদ্রিক বিশেষজ্ঞ আদ্রিয়ানা হামেন্স বলেন, কৃত্রিম প্রবালদ্বীপ সবসময় পরিবেশের জন্য উপকারী হয় না। মনুষ্য স্থাপনা তৈরিতে ব্যবহৃত তামা, অ্যালুমিনিয়াম, সীসা, লোহা, পেট্রোলিয়াম হাইড্রোকার্বন প্রভৃতি ওই এলাকার সামুদ্রিক প্রাণিদের জীবন সঙ্কটাপন্ন করে তুলবে। এছাড়া, এসব ধাতু ক্ষয় হওয়ায় ভ্রমণার্থীদের নিরপত্তাও হুমকির মুখে পড়বে।
তবে, কর্মকর্তাদের দাবি, আন্ডারওয়াটার পার্কের কারণে পরিবেশে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না। ইতোমধ্যে, বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে পরিবেশবান্ধব ডিটারজেন্ট দিয়ে প্লেনের উপরিভাগ ভালোভাবে ধোয়া হয়েছে, যেন এতে ব্যবহৃত সবধরনের তেল-কালি দূর হয়ে যায়। এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে প্লেনের সব তার, জ্বালানি, আঠা, প্লাস্টিক, রাবার, রাসায়নিকসহ বিষাক্ত পদার্থগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এটি এখন সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব।
পর্যটক টানতে প্লেন ডোবানোর ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়।
১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে একটি বোয়িং ৭২৭ প্লেন পানির নিচে স্থাপন করা হয়েছিল। এছাড়া, বিখ্যাত সিনেমা ‘ইউএস মার্শালস’-এ ব্যবহৃত একটি প্লেন ইলিনয়ের মার্মেট স্প্রিংসে পানির নিচে ডুবে আছে। এটি এখন সেখানকার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। কানাডা ও তুরস্কেও রয়েছে এ ধরনের আন্ডারওয়াটার পার্ক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
একে