শনিবার (১৫ জুন) ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সায়্যিদ মুহাধার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ওই পাঁচ কন্টেইনারে শুধু কাগজজাতীয় আবর্জনা থাকার কথা ছিল। কিন্তু, এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বোতল, প্লাস্টিক, ডায়াপারজাতীয় আবর্জনা পাওয়া গেছে।
একটি কানাডীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন কন্টেইনারগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়ায় পৌঁছায় গত মার্চ মাসে। এতে থাকা বর্জ্যগুলো কোথায় তৈরি হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এ ঘটনার পর জাকার্তা বন্দর ও সুমাত্রা দ্বীপের বাতাম শহরের অন্য সব কন্টেইনারও পরীক্ষা করে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, এশিয়ার আরেক দেশ মালয়েশিয়া কিছুদিন আগে শত শত টন আমদানি করা বর্জ্য ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
ফিলিপাইনও কানাডা থেকে আসা বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ফেরত পাঠিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশিরভাগ প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি করতো চীন। তবে, সম্প্রতি পরিবেশ রক্ষার জন্য এ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। এরপর থেকেই এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে এসব বর্জ্য পাঠানো শুরু হয়।
ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর ন্যাচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) তথ্যমতে, প্রতিবছর সারাবিশ্বে অন্তত ৩০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। এর বেশিরভাগেরই জায়গা হয় মাটির নিচে অথবা সাগরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
একে