গত বৃহস্পতিবারের (১৩ জুন) ওই বিস্ফোরণের ঘটনার পর একটি আরব সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌদির প্রভাবশালী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সরাসরি তেহরানের দিকে আঙুল তোলেন।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বলেন, ‘এ অঞ্চলে আমরা কোনো ধরনের যুদ্ধ চাই না।
ইরান উপকূলের ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পূর্বে আক্রান্ত তেলের ট্যাংকার দু’টি হলো- নরওয়ের মালিকানাধীন ফ্রন্ট আলটিয়ার ও জাপানের মালিকানাধীন কোকুকা কারিজিয়াস। ফ্রন্ট অলটিয়ার ভাড়ায় চালাচ্ছে তাইওয়ান।
মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজোর ইরান সফরকেও সম্মান করেনি তারা। কারণ যে দু’টি জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে, তার একটি জাপানের। শিনজো আবে ইরানে থাকাকালেই জাপানের একটি জাহাজে হামলা চালিয়ে এ নজিরই দেখালো তেহরান।
বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনার পর শনিবার (১৫ জুন) বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, হামলার কারণে কিছু বাণিজ্যিক সংস্থা তাদের জাহাজগুলোকে এ উপসাগরে প্রবেশে বারণ করেছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, হামলার পেছনে ইরানই রয়েছে। এর প্রমাণ স্বরূপ একটি ভিডিও-ও প্রকাশ করে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
ভিডিওর বর্ণনায় বলা হয়, আক্রান্ত দু’টি জাহাজের একটি থেকে অবিস্ফোরিত মাইন সরিয়ে নিচ্ছে ইরানের বিশেষ বাহিনী। এছাড়া নিজেদের দাবির প্রমাণে কিছু ছবিও প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি প্রত্যাখ্যান করলেও সৌদির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইরান।
এর আগে গত ১২ মে ওমান উপসাগরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ফুজাইরাহ বন্দর উপকূলে চারটি তেলবাহী জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। এর এক মাস পরই ফের হামলার ঘটনা ঘটলো। ওই হামলার পেছনেও ইরান রয়েছে বলেই দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সে সময় কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি মার্কিন কর্তৃপক্ষ। সে সময়ও যুক্তরাষ্ট্রের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল ইরান।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। দেশ দু’টি একে অপরকে হুমকিও দিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই যেনো হাঁটছে সৌদি আরব।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
এসএ/এইচএ/