বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যম জানায়, চীনের তিয়ানজিন শহরের আদালতে সাবেক ইন্টাপোলপ্রধান মেং হংওয়েই তার বিরুদ্ধে আনা দুই মিলিয়ন ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করেছেন।
চীনের নাগরিক হলেও স্ত্রী-সন্তানসহ ফ্রান্সের লিওন শহরে বসবাস করতেন ইন্টারপোলের সাবেক এ কর্মকর্তা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নিজ দেশ চীনে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হন তিনি। এরপর তার স্ত্রী ফ্রান্সের নিরাপত্তা বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা এ নিয়ে তদন্তে নামে। প্রথমদিকে এ নিয়ে নিরবই ছিলো ইন্টারপোল ও চীনা কর্তৃপক্ষ।
পরে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেংওয়েইকে আটকের কথা স্বীকার করেছে চীন। দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি জানায়, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তবে মেং হংওয়েইয়ের স্ত্রী গ্রেস মেংয়ের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে উদ্দেশ্যমূলকভাবেই তাকে আটক করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
এরই জেরে গ্রেস তার নিজের ও সন্তানের জীবন শঙ্কায় রয়েছে উল্লেখ করে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করে। পরে ২০১৯ সালের মে মাসে তার আবেদন মঞ্জুর করে তাদের ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়।
ইন্টারপোলের ইতিহাসে প্রথম কোনো চীনা নাগরিক হিসেবে প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন ৬৫ বছর বয়সী মেং হংওয়েই। ২০১৬ সালের নভেম্বরে চার বছর মেয়াদে তাকে এ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আটকের পর এ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
এছাড়া প্রায় ৪৫ বছর ধরে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন মেং। পাশাপাশি আটকের আগ পর্যন্ত স্বদেশের জননিরাপত্তা বিষয়ক উপমন্ত্রীর দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তবে আটকের পর উপমন্ত্রীর দায়িত্ব ও দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এসএ/