তবে বরাবরের মতোই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ওই নারীর দাবিকে ‘কাল্পনিক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। উল্টো এ অভিযোগকে ওই লেখিকার নতুন বই বিক্রির ‘ধান্দা’ বলেও দাবি করেন তিনি।
শনিবার (২২জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ই জিন ক্যারল নামে ওই লেখিকা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। শুক্রবার (২১ জুন) ‘নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনে’ ওই লেখিকার অভিযোগ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৫ বা ’৯৬ সালের দিকে বার্গডোফ গুডম্যান নামে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সাজঘরে ক্যারলকে ধর্ষণ করেন ট্রাম্প। তখন ট্রাম্পকে নামকরা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হিসেবেই চিনতেন ওই নারী।
সেই সময়ে ক্যারল লেখালেখির পাশাপাশি বিভিন্ন শো’তে উপস্থাপনাও করতেন। ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে অন্য আরেকজন মেয়ের জন্য উপহার কিনতে ট্রাম্প গিয়েছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এক পর্যায়ে স্টোরের সাজঘরে গেলে তাকে ধর্ষণ করেন ট্রাম্প।
পরে ট্রাম্পের এ কাণ্ড ক্যারল তার দুই বন্ধুকে জানালে একজন তাকে পুলিশে অভিযোগ জানাতে বলেন। কিন্তু অন্যজন ক্যারলকে এ ঘটনা ভুলে যেতে পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘ট্রাম্পের অন্তত ২০০ আইনজীবী রয়েছেন। এ নিয়ে অভিযোগ করলে ট্রাম্প উল্টো তোমাকে পুঁতে ফেলবেন। ’
অন্যদিকে এক বিবৃতিতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প বলেন, ধর্ষণ তো দূরের কথা, ক্যারলের সঙ্গে কোনোদিন তার দেখাই হয়নি। নতুন বই বিক্রির জন্যেই এ ধরনের গালগপ্পো ছড়াচ্ছেন ক্যারল। এছাড়া তাকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে বলেও ধারণা ট্রাম্পের।
যদিও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগে অন্তত ডজনখানেক নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। তবে প্রত্যেকবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
এইচআরডি/এসএ