রোববার (২৩ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে ইরানের পারমাণবিক মজুদ বাড়ানোর ঘোষণার প্রেক্ষিতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তেহরান সিদ্ধান্ত না বদলানো পর্যন্ত অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত থাকবে। তাদের ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। কয়েকটির ক্ষেত্রে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেবো।
২০১৫ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্তে ‘পাওয়ার সিক্স’ বলে খ্যাত ছয়টি (যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি) দেশের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি সীমিতকরণের চুক্তি করে ইরান।
কিন্তু, গত বছর একতরফাভাবে এ চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ইরানের ওপর নতুন করে বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এতে অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। তাদের মুদ্রার মান সর্বনিম্ন রেকর্ড গড়েছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। দেশটির প্রধান আয়ের উৎস তেল রফতানিতেও এর প্রভাব পড়েছে।
এর জবাবে, চুক্তি ভেঙে ফের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের ঘোষণা দিয়েছে ইরান।
এ ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরান সমৃদ্ধ দেশ হতে চাইলে, তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যদি ভাবে, পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হবে, তা হতে দেবো না।
নিজের নির্বাচনী প্রচারণার স্লোগানের নকল করে ট্রাম্প বলেন, ‘লেটস মেক ইরান গ্রেট এগেইন’।
পরে এক টুইটে তিনি বলেন, সোমবার (২৪ জুন) থেকেই ইরানের ওপর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
তবে, ইরানের সঙ্গে সমঝোতার পথ খোলা আছে বলেও জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এ মাসের শুরুতে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে ইরানের সঙ্গে বিনাশর্তে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
তবে, তেহরান বিষয়টি ‘ছলচাতুরি’ দাবি করে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
একে