রোববার (২৩ জুন) ৬৭ জন আন্দোলকারীকে নিউইয়র্ক পুলিশ ও বাকি তিন জনকে বন্দর কর্তৃপক্ষ পুলিশ আটক করে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। যদিও, এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
১০১০ উইনস রেডিও এক টুইটে জানায়, আন্দোলনকারীরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবাদে নিউইয়র্ক টাইমস সদর দফতরের সামনের রাস্তায় শুয়ে পড়েন। এরপর বহুতল ভবনটিতে ‘জলবায়ু পরিবর্তন=অগুনতি হত্যাকাণ্ড’ লেখা একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেন তারা। এতে পরিবর্তন শব্দটি কেটে লেখা হয় ‘জরুরি অবস্থা’। যদিও ব্যানারটি কিছুক্ষণের মধ্যেই সরিয়ে ফেলে পুলিশ।
এদিকে, বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন বাস টার্মিনালেও একটি ব্যানার টাঙান আন্দোলনকারীরা। সেখানে লেখা ছিল ‘জলবায়ুর জরুরি অবস্থা’।
ঘটনাস্থল থেকে আন্তজার্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক সাংবাদিক টুইট করেন, আন্দোলনকারীরা ‘সত্য প্রকাশ করুন’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
তাদের দাবি, সংবাদপত্রগুলো যেন জলবায়ুর জরুরি অবস্থা নিয়ে বেশি বেশি খবর প্রকাশ করে, যার মাধ্যমে মানুষ আরও বেশি সচেতন হয় ও প্রতিবাদ করতে পারে।
ডোনা নিকোলিনো নামে এক আন্দোলনকারী তিনি বলেন, আমি আটক হওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা চাই, নিউইয়র্ক টাইমসসহ অন্য সংবাদমাধ্যমগুলো যেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে সংকট হিসেবে দেখে।
নিউইয়র্ক টাইমসের মুখপাত্র ড্যানিয়েল রোডস হা বলেন, নিউইয়র্ক টাইমস জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সমৃদ্ধ প্রতিবেদন প্রকাশে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, যেন মানুষ জলাবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন বাজে দিক উপলব্ধি করতে পারে। দেশের অন্য গণমাধ্যমগুলোর চেয়ে তা বহুগুণ বেশি।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ২০১৮ সালে নিউইয়র্ক টাইমস ৭শ’ ৯৫টি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এইচএডি/একে