ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বিহারে এনসেফালাইটিসে মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১৬০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
বিহারে এনসেফালাইটিসে মৃত শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১৬০

ঢাকা: ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে এনসেফালাইটিস (ভয়ঙ্কর ভাইরাসের আক্রমণ থেকে মস্তিষ্কে সংক্রমণ) রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৬০-এ দাঁড়িয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজ্যের আরও বহু শিশু।

সোমবার (২৪ জুন) রাজ্যের কর্তৃপক্ষের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত ১ জুন থেকে এখন পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ১৬০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে বেশিরভাগ শিশুই রাজ্যের মুজাফফরপুর জেলার। বর্তমানে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ বেশিরভাগ শিশুই রাজ্যের শ্রী কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে (এসকেএমসিএইচ) চিকিৎসাধীন।

এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এতো শিশুর মৃত্যুর পেছনে বিহার সরকারের অবহেলাকেই দায়ী করছেন অনেকে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে আদালতে অভিযোগও করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সোমবার বিহার সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। নোটিশে রাজ্য সরকারকে সাত দিনের মধ্যে এতো শিশুর মৃত্যুর কারণ এবং এ রোগ মোকাবিলায় রাজ্য সরকার এখন পর্যন্ত কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে।  

গত ১৭ জুন বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি বৈঠক করে রাজ্য সরকার। বৈঠকে এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার খরচ সরকারই বহন করবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। পাশাপাশি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে চার লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিল রাজ্যের কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (ব্লাড সুগার খুবই নিচে নেমে যাওয়া) কারণেই বেশিরভাগ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ১৪ জুন এসকেএমসিএইচ হাসপাতাল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি বিবেচনায় এ হাসপাতালসহ রাজ্যের অন্য হাসপাতালগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স ও বেড সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডে। তার সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও একমত পোষণ করেছিল।  

এছাড়া চলমান সঙ্কটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমারও।

চিকিৎসকদের মতে, এনসেফালাইটিস একটি ভাইরাল ইনফেকশন। প্রাথমিকভাবে যার কারণে জ্বর বা মাথাব্যথার মতো হালকা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয়।

চিকিৎসকদের ধারণা, মূলত লিচু খাওয়া থেকে এ রোগ সংক্রমিত হয়েছে। তবে শুধু লিচুই নয়, অপুষ্টিও এসব শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।