সোমবার (২৪ জুন) জেদ্দায় পৌঁছে তিনি সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দেশটির প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
এরপর মাইক পম্পে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
গত সপ্তাহে মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করার প্রেক্ষিতে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে মত দেয় যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সৌদি ও আরব আমিরাত। এরপর, শিয়া অধ্যুষিত দেশটিতে সামরিক অভিযানের অনুমতি দিলেও শেষ পর্যন্ত পিছু হটেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে একেবারে চুপ হয়ে যাননি, বরং ইরানের ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি, যার বেশ কয়েকটি এ সপ্তাহেই কার্যকর হওয়ার কথা।
ওয়াশিংটন ছাড়ার আগে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মাইক পম্পে ইরানের দেওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সবচেয়ে বড় বন্ধু বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কৌশলগত ঐকমত্য ও আন্তর্জাতিক জোট গঠনের বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলবো।
ইরান সন্ত্রাসের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক মন্তব্য করে পম্পে বলেন, দেশটিকে পিছু হটাতে শুধু উপসাগরীয় দেশগুলোতেই নয়, এশিয়া ও ইউরোপেও মিত্রজোট গঠন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পূর্বনির্ধারিত ভারত সফরের আগেই আরব অঞ্চল সফরে বেরিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত বছর তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি যুবরাজের কড়া সমালোচক বলে পরিচিত লেখক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ বিন সালমানের পক্ষে একতরফা সমর্থন জানানোয় বিতর্কের মুখে পড়ে ট্রাম্প প্রশাসন। এসময় সৌদি যুবরাজের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্কের বিষয়টিও নতুন করে আলোচনায় আসে।
সম্প্রতি ইরানকে বিশ্বের জন্য হুমকি ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত বিরল জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ৮ বিলিয়নের বেশি মূল্যের অস্ত্র বিক্রির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পে। যদিও এসব অস্ত্র ইয়েমেন যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক হত্যায় ব্যবহৃত হতে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
একে