গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) হরমুজ প্রণালির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করে ইরান। তেহরান জানায়, ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়।
এর জবাবে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা যায়, প্রথমে সামরিক হামলার অনুমতি দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করেন তিনি। তবে, একেবারে থামেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইরানের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এর মধ্যেই জানা গেছে, ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার দিনই ইরানের সমরাস্ত্র-ব্যবস্থায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউজ আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও, দেশটির সংবাদমাধ্যমের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার কমান্ড ও সেন্ট্রাল কমান্ড যৌথভাবে এ হামলা চালিয়েছে। এতে ইরানের ক্ষেপণান্ত্র নিয়ন্ত্রণসহ গোটা সমরাস্ত্র-ব্যবস্থাই অচল করে দেওয়া হয়েছে।
তবে, এ দাবি অস্বীকার করেছেন ইরানের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী জাভেদ আজারি-জাহরোমি।
তিনি বলেন, এ ধরনের সাইবার হামলা মোকাবিলায় ইরানের প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে। গত বছর প্রায় ৩৩ মিলিয়ন সাইবার হামলা সফলভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে।
এসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের তৈরি ‘স্টাক্সনেট’ নামে একটি কম্পিউটার ভাইরাসের কথা উল্লেখ করেন। এটি দিয়ে ২০০৯-১০ সালে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা নেটওয়ার্কে হামলা চালানো হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
একে