গত ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় ‘লাপাত্তা’ প্রিন্সেস হায়ার জার্মানিতে চলে যাওয়ার এ খবর শনিবার (২৯ জুন) ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমে। বলা হচ্ছে, ৪৫ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়া ইউরোপের দেশটিতে গিয়ে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ (অ্যাসাইলাম) চেয়েছেন এবং ৬৯ বছর বয়সী স্বামী শেখ মোহাম্মদের সঙ্গে বিচ্ছেদের নথি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
প্রিন্সেস হায়া জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়ার পর দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে আরব আমিরাতের। সংবাদমাধ্যমের খবর, শেখ মোহাম্মদ তার স্ত্রী হায়া, ৭ বছর বয়সী পুত্র জায়েদ ও ১১ বছর বয়সী কন্যা আল জালিলাকে ফেরত দিতে বলেছেন বার্লিন কর্তৃপক্ষকে। তবে জার্মানির কর্তৃপক্ষ আরব আমিরাতের এ নেতার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, প্রিন্সেস হায়া আশ্রয় চাওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, জর্দানের রাজকুমারী (প্রয়াত বাদশাহ হুসেইন বিন তালালের মেয়ে) প্রিন্সেস হায়া প্রথমে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু যুক্তরাজ্য তাকে আমিরাতে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারে বলে শঙ্কা থেকে তিনি জার্মানিতেই পাড়ি জমান।
২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদের সঙ্গে বিয়ে হয় জর্দানের এ রাজকুমারীর। দু’জনের প্রায় ১৫ বছরের সংসারে এসেছে আল জালিলা ও জায়েদ। গত বেশ ক’মাস ধরে শেখ মোহাম্মদের পরিবারে দ্বন্দ্বের খবর ছড়িয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এই দ্বন্দ্বের জেরেই প্রিন্সেস হায়া ‘স্বামী-ত্যাগ’ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
এইচএ/