সংবাদমাধ্যমকে রাহুল জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং এ পদে আর ফিরবেন না।
তিনি বলেন, আমি আমার পদত্যাগপত্র এরই মধ্যে জমা দিয়েছি।
‘দলের নীতি-নির্ধারণী বডি ওয়ার্কিং কমিটির উচিত শিগগির এ বিষয়ে সভা ডেকে দলীয় প্রধান নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া। ’
তবে রাহুল এও বলেন, নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে না থাকলেও দলীয় কর্মকাণ্ড ঠিকই চালিয়ে যাবো।
এদিকে দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রধান কে হবেন- তা এক সপ্তাহের মধ্যেই ঠিক করা হবে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরপরই দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন রাহুল। গত ২৫ মে তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানালে দলের অন্যান্য প্রবীন নেতাদের অনুরোধে চুপ ছিলেন তিনি। তবে এবার নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থেকে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা দিলেন কংগ্রেস সুপ্রিমো।
যদিও নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের দায়ভার নিজের কাঁধেই নিয়েছেন রাহুল, তবে এর পেছনে দলীয় নেতারাও যে এড়িয়ে যেতে পারেন না তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তার ভাষ্য, নির্বাচনের প্রচারণার সময় নেতারা দলীয় স্বার্থের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকেই বড় করে দেখেছিলেন। যা কখনই কাম্য নয়।
এদিকে রাহুলের সরে যাওয়ার ফলে নেহেরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে তৃতীয়বারের মতো কেউ উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কারও কথা উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়া রাজীব-সোনিয়া তনয়া রাহুল গান্ধীও চান- তাদের পরিবারের বাইরের কেউ-ই হোক দলীয় প্রধান। এখন সেটাই দেখার পালা- কে হচ্ছেন কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি?
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৯
এসএ/এমএ