ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের নামে আইনভঙ্গের অভিযোগকারী ‘সিআইএ কর্মকর্তা’ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
ট্রাম্পের নামে আইনভঙ্গের অভিযোগকারী ‘সিআইএ কর্মকর্তা’ 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ বলা হয়, সম্প্রতি তিনি ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রধান ডেমোক্র্যাট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে চাপ প্রয়োগ করেন। এ ঘটনায় বিদেশি শক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প মূলত আসন্ন নির্বাচনকেই প্রভাবিত করতে চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইতোমধ্যেই এ অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন আনা হবে।

সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট পদ নিয়েও বিপাকে পড়তে হবে তাকে।     

এদিকে কে ওই ফোনালাপের বিষয়টি তুলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তা গোপনীয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশেই গোপন অভিযোগকারীর বিধি রয়েছে। আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই তাদের নাম গোপন রাখা হয়। এদের বলা হয়, ‘হুইসেলব্লোয়ার’।  

এদিকে এরই মাঝে সেই হুইসেলব্লোয়ারের সম্ভাব্য পরিচয় জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স ও  যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা। খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগকারি ওই ব্যক্তি একজন ‘সিআইএ কর্মকর্তা’। তিনি একসময় হোয়াইট হাউজে কর্মরত ছিলেন।  

হুইসেলব্লোয়ারের অভিযোগ, চলতি বছরের ২৫ জুলাই ট্রাম্প ও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির মাঝে ৩০ মিনিটের মতো এক ফোনালাপ হয়। কিন্তু, পরবরতীতে ওই ফোনালাপের তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে জ্যেষ্ঠ হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা।  

জানা যায়, ইউক্রেনের একটি গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন। ২০১৬ সালে বাইডেনসহ ওই গ্যাস কোম্পানির কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অপরাধের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। জো বাইডেন সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ছেলের বিরুদ্ধে ওই তদন্ত বন্ধ করেন। যদিও এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। কিন্তু ট্রাম্প বাইডেনকে ঘায়েল করতে জো বাইডেনসহ তার ছেলের বিরুদ্ধে নতুন করে এক তদন্ত শুরু করতে নবনির্বাচিত  ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে চাপ দেন। অন্যথায়, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের বর অঙ্কের অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হবে জানান ট্রাম্প।  

ট্রাম্প অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। এটিকে তিনি ‘ভাওতাবাজি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯ 
এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।