ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লেবাননে করবিরোধী বিক্ষোভ রূপ নিয়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
লেবাননে করবিরোধী বিক্ষোভ রূপ নিয়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে কর প্রত্যাহারের ঘোষণার পরেও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননবাসী। ছবি: সংগৃহীত

হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন কর আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল লেবানন সরকার। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি এই ঘোষণা দেওয়ার পরপরই প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। করারোপের প্রতিবাদে শুরু হলেও এটি এখন রূপ নিয়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। 

শনিবার (১৯ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রবল চাপের মুখে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে কর প্রত্যাহারের ঘোষণার পরেও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননবাসী। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া, জীবনযাত্রার মানের অবনতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতির প্রতিবাদে সরকারের পদত্যাগ চেয়ে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানী বৈরুতে জমা হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার মানুষ।

পার্লামেন্ট ভবনের সামনে সাদ হারিরির পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। উত্তেজিত জনগণকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় অন্তত ১৭২ জন আহত হন বলে জানা গেছে। ৭০ বিক্ষোভকারীকে আটকও করেছে পুলিশ।

পুলিশি বাধা সত্ত্বেও শনিবার বৈরুতের রাজপথে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নামছে বিক্ষোভকারীরা। গত এক বছরের মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে লেবাননে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো।  

এদিকে, জনগণের দাবি পূরণে ৭২ ঘণ্টা সময় চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হারিরি। শুক্রবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক ভাষণে দেশের সম্পত্তি বিনষ্ট না করে বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এসময় যেকোনো পণ্য ও সেবার ওপর নতুন কর আরোপ না করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে, বিক্ষোভের জেরে উত্তাল লেবাননে নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব, কুয়েত, মিশর ও বাহরাইনসহ বেশ কয়েকটি দেশ। আপাতত সেখানে অবস্থানকারী নাগরিকদের বিক্ষোভ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত নিজ দেশের দূতাবাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য ও কানাডা। জনগণের দাবি দ্রুত মেনে নিতে হারিরিকে অনুরোধ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
কেএসডি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।