শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, চীনের সর্ববৃহৎ ময়লার ভাগাড়ে আর তিলধারণেরও জায়গা নেই। কথা ছিল, ২০৪৪ সাল পর্যন্ত ময়লা রাখা যাবে ১০টি ফুটবল মাঠের সমান এ ভাগাড়ে।
১৯৯৪ সালে তৈরি শানজি প্রদেশের জিয়াংকানগো ভাগাড়ে প্রতিদিন ২৫শ’ টন বর্জ্য রাখার কথা ছিল। কিন্তু, প্রতিদিন ১০ হাজার টন বর্জ্য ফেলায় নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ভরে গেছে সুবিশাল এ ভাগাড়।
সাত লাখ বর্গমিটার আয়তনের ভাগাড়টিতে অন্তত ৮০ লাখ মানুষের তৈরি বর্জ্য জমা হয়েছে প্রতিদিন। ১৫০ মিটার গভীর এ ভাগাড়ের বর্জ্য ধারণক্ষমতা ৩ কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার।
গৃহস্থ ময়লা ফেলতে ভাগাড়ের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল শহর জি’আনের মতো চীনের আরও কয়েকটি এলাকায় ভাগাড়ের ধারণক্ষমতা দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। একারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরই মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম শুরু করেছে দেশটি। ভাগাড়ের পরিবর্তে ভস্মীকরণকেন্দ্রের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
চীনে এ মাসেই নতুন একটি ভস্মীকরণকেন্দ্র চালু হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে আরও চারটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। এসব কেন্দ্রে প্রতিদিন ১২ হাজার ৭৫০ টন বর্জ্য পোড়ানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জি’আন শহরের এই ভাগাড়ের জায়গায় ধীরে ধীরে ‘ইকোলজিক্যাল পার্ক’ গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।
চীনে মোট ৬৫৪টি ভাগাড় ও ২৮৬টি ভস্মীকরণকেন্দ্র রয়েছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালে ২ হাজার ১৫০ লাখ টন শহুরে বর্জ্য সংগ্রহ করেছিল চীন। এর বছর দশেক আগে তাদের বর্জ্য সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫২০ লাখ টন।
২০১৭ সালেই তারা বিদেশ থেকে বর্জ্য আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। ওই বছর তারা শুধু ইউরোপ, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ২ কোটি ৭০ লাখ টন কাগুজে বর্জ্য আমদানি করেছিল। এছাড়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়াও বর্জ্য পাঠাতো চীনে। কিন্তু, অতিরিক্ত বর্জ্য জমে ভাগাড়ের জায়গা ফুরিয়ে আসায় এসব বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে চীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
একে