রুশ অভিযানের ১৫তম দিনে প্রথমবারের মতো দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) তুরস্কের আন্তালায়ায় এই বৈঠক শুরু হয় বলে জানায় আল-জাজিরা ও রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। তারা এই মুহূর্তে ‘শান্তি আলোচনা’ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। এরপরই তুরস্কের উদ্যোগে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি আশঙ্কা করেছেন, ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জৈব অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জৈব অস্ত্র ব্যবহার করার প্রাথমিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও তার এই দাবির বিপরীতে কোনো প্রমাণ তিনি দেননি।
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। সেখানে একের পর এক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। বহু মানুষ হতাহত হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশটি ছেড়ে অন্তত ২০ লাখ মানুষ পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
রাশিয়ার মতো বিশাল শক্তিধর বাহিনীর সঙ্গে ১৫ দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের যোদ্ধারা। এতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বেসামরিক লোকজনও।
এই যুদ্ধ বন্ধ করতে বেশ কয়েকবার ‘শান্তি আলোচনা’ হলেও এখনো চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি হয়নি। তবে ‘মানবিক করিডর’ দিতে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেন দাবি করে, রাশিয়া মানবিক করিডর দেওয়ার ঘোষণা দিলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে আনতে তারা বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
এই যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বের অনেক দেশ উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু এখনো যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কোনো দেশই একমত হয়নি। সবশেষ তুরস্কের উদ্যোগে রাশিয়া ও ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল ‘শান্তি আলোচনায়’ বসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২২
জেএইচটি