ইমরান পরবর্তী পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মুসলিম লিগ (নওয়াজ) নেতা শাহবাজ শরীফ। অবশেষে শপথ নিয়েছে পাকিস্তানের সেই নতুন মন্ত্রিপরিষদ।
৩৩ জন শপথ নিলেও ২৮ জনেরই দফতর বণ্টন করা হয়েছে। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর পাঁচ মন্ত্রীর দফতর বন্টন এখনও হয়নি। তিনজন পরামর্শদাতাও নিয়োগ করেছেন শাহবাজ।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদপত্র ‘দ্য ডন’ জানাচ্ছে, যেভাবে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন শাহবাজ, তাতে শরিক দলগুলো অসন্তুষ্ট। বিশেষ করে পিএমএল-এন এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ক্ষুব্ধ।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস অবশ্য জানিয়েছে, পিএমএল প্রধান নওয়াজ শরিফ এবং অন্য শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই মন্ত্রিসভার গঠন ও মন্ত্রীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
শাহবাজ শরীফ টুইট করে বলেছেন, তিনি আশা করেন, মন্ত্রী ও পরামর্শদাতারা মানুষের সমস্যা দূর করতে পারবেন। আর তাদের লক্ষ্য হল শুধু কাজ করে যাওয়া।
কিন্তু পিএমএল-এন সূত্র ডনকে জানিয়েছে, নওয়াজের ঘনিষ্টরা বাদ পড়েছেন। শুধুমাত্র তার একজন অনুগামীকে নেওয়া হয়েছে। নওয়াজকে কোণঠাসা করার চেষ্টা হয়েছে।
পিপিপি সূত্র ডনকে জানিয়েছে, তারাও মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে খুশি নয়। বালোচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি, বালোচিস্তান আওয়ামি পার্টি এবং আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টি থেকে কাউকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি। অথচ, পিপিপি তাদের এই নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিলাওয়াল ভুট্টো মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাজ্য গেছেন। সেখানে তিনি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করবেন।
বিরোধী পিটিআই-এর অভিযোগ, শাহবাজ শরীফ দুর্নীতিগ্রস্তদের মন্ত্রী করেছেন। মন্ত্রিসভার ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে পাকিস্তানে শনিবার (৯ এপ্রিল) দিনগত রাতে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান। সোমবার ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
সূত্র: দ্য ডন
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২২
এসআইএস