থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১৭টি স্থানে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বুধবার (১৭ আগস্ট) মধ্যরাতের পর দেশটিতে এই হামলা হয়েছে।
দেশটির কর্তৃপক্ষ এটিকে সমন্বিত হামলা বলে ধারণা করছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছে।
থাই পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এই হামলার দায় এখনো স্বীকার করেনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে বোমা এবং আগুন হামলার ঘটনা ঘটে। তিনটি প্রদেশজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট এবং একটি গ্যাস স্টেশনকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো এই হামলায় কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছে। এসব প্রদেশে কয়েক দশক ধরে বিদ্রোহীদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পাত্তানি, ইয়ালা, নারাথিওয়াত এবং সংখলা প্রদেশের কিছু অংশের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলনরত বিদ্রোহীদের সঙ্গে থাইল্যান্ডের সরকার ছায়াযুদ্ধ করছে।
সহিংসতা পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী ডিপ সাউথ ওয়াচের মতে, দেশটিতে ২০০৪ সাল চলমান সংঘাতে ৭ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে থাইল্যান্ড সরকার ২০১৩ সালে শান্তি আলোচনা শুরু হলেও বারবার তা বাধার সম্মুখীন হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশটির প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী বারিসান রেভুলুসি ন্যাশনালের সঙ্গে শান্তি আলোচনা প্রায় দুই বছর ধরে স্থগিত ছিল। চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশটির সরকার পুনরায় এই শান্তি আলোচনা শুরু করেছে। শান্তি আলোচনা শুরুর এই উদ্যোগের মাঝে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে একযোগে হামলার ঘট্না ঘটল।
দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী পাতানি ইউনাইটেড লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিইউএলও) এরইমধ্যে শান্তি আলোচনা থেকে সরে গেছে। শান্তি আলোচনার উদ্যোগ অন্তর্ভূক্তিমূলক নয় দাবি করে গত রমজান মাসে দেশটিতে বোমা হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেছিল এই গোষ্ঠী। অন্যদিকে থাইল্যান্ড সরকার জানিয়েছেম, তারা সব দলের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত আছে।
সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
ইআর