ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় নরু আঘাত হানার পর অন্তত পাঁচ জন উদ্ধারকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, দেশটির লুজোন দ্বীপে ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় নরু। ওই দ্বীপে দেশটির মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বসবাস।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, রোববার ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী ম্যানিলার প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। এতে সেখানকার নারিকেল বাগান ও ধান ক্ষেত্রের অনেক ক্ষতি হয়। পরে এটি ক্রমেই দূর্বল হয়ে পড়ে এবং তা পার্বত্য অঞ্চল অতিক্রম করে।
ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আগে প্রায় ৭৫,০০০ মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বুলাকান এলাকার গভর্নর ড্যানিয়েল ফার্নান্দো বলেছেন, প্রাদেশিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের পাঁচজন কর্মী সান মিগুয়েল জেলায় উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় আকস্মিক বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় নরুর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রেহাই পেতে সরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৭৪ হাজারের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরো বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
নরুর প্রভাবে ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা এবং বিপজ্জনক ঝড়ের জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার কিছু অংশে বড় ধরনের বন্যা দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এক দিনের ব্যবধানে ঘূর্ণিঝড়টি গতি বাড়িয়েছে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারী রব গিল এএফপিকে বলেছেন, এভাবে গতি বাড়ানোর বিষয়টি অভূতপূর্ব।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া দপ্তর ঘূর্ণিঝড় নরুর কারণে পাঁচ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে। নরুকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই দেখছে দেশটি।
ফিলিপাইনের রেড ক্রসের চেয়ারম্যান রিচার্ড গর্ডন বলেছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের অনেক বাঁধ উপচে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।