মনের ভেতরে ভয় সৃষ্টির বিভিন্ন কারণ আছে। প্রতিকার বলার আগে কারণগুলো জানা গেলে প্রতিরোধ করার উপায়ও বোঝা সহজ।
সুতরাং ভয় দূর করতে প্রথম কাজ হলো, আল্লাহর ওপর ভরসা করা। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট। ’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ৩)
এছাড়া সহজ কিছু দোয়া রয়েছে। এগুলো বেশি করে বিশেষভাবে ভয়ের মুহূর্তে ও যথাসময়ে পড়লে উপকার পাওয়া যাবে। এতে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে, তাওয়াক্কুল-ভরসা বাড়বে ও ধীরে ধীরে মনের ভয়ও দূর হবে, ইনশাআল্লাহ।
এক. ফজিলত : ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বিপদাপদকালে ওই দোয়া পাঠ করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর : ৬৩৪৬)
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আযিমুল হালিম। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আযিম।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদ্বি ও রাব্বুল আরশিল কারিম। ’
অর্থ : ‘মহান ও মহা ধৈর্যশীল আল্লাহ ছাড়া সত্যই কোনো উপাস্য নেই। মহান আরশের রব আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং মহান আরশের রব আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই। ’
দুই. ফজিলত : উসমান ইবনে আফ্ফান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার এই দোয়াটি পাঠ করবে, কোনো কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। ’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ৩৩৮৮)
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহিল্লাযি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামাই ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম। ’
অর্থ : আল্লাহর নামে, যাঁর নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।
লেখক: মুফতি তাজুল ইসলাম, ইসলামী গবেষক
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
এএটি