মানুষকে আল্লাহর পথে আসার আহবান ও মানুষের মনে আল্লাহতায়ালার ভালোবাসার উন্মেষ ঘটানোর উপায় এবং মানুষের নৈতিক উন্নয়নের দাওয়াত নিয়ে গত শুক্রবার সকালে শুরু হয়েছিল আওলাদে রাসূল হজরত আসাদ মাদানি (রহ.)-এর খলিফা আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের আহ্বানে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ইসলাহী ইজতেমা। তিনদিনব্যাপী ইজতেমার বিভিন্ন পর্বে ইসলাহী বয়ান, আম বয়ান, বিশেষ বয়ান, কোরআন তালিম ও তেলাওয়াত, জিকির ও দরূদের আমলসহ ধারাবাহিক আত্মোন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন আগত মুসল্লিরা।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এই ইজতেমা শেষ হয়।
ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের আগে বয়ানে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠের ইমাম ও বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ইসলাম মানুষকে রাঙিয়ে দিতে এসেছে। ইসলামের আলো দিয়ে আমাদের জীবনবিভাকে আলোকিত করতে হবে। মানুষ ইসলামের পথে ফিরে এলেই সব নৈরাজ্য-দুর্নীতি বন্ধ হবে। সততার পথই একমাত্র আদর্শ পথ- উল্লেখ করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, জিকিরে জিকিরে হৃদয় পরিষ্কার হয়, তখন আর ওই হৃদয়ে কোনো অসারতা থাকতে পারে না। মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর জিকির ও স্মরণ কমে যাওয়ার কারণে দুনিয়ায় ফাসাদ বেড়ে চলছে- বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করে পাপাচার থেকে সবাইকে দূরে থাকার আহবান জানান।
ইসলাহী মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মওদুদ মাদানি, মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা হুসাইন আহমদ, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাইফী, মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, মাওলানা হুসাইনুল বান্না, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমি ও মুফতি তাজুল ইসলাম কাসেমি প্রমুখ।
মাওলানা মওদুদ মাদানি তার বক্তব্যে বলেন, পরস্পরের সম্পর্ক জোরদারে মুসলমানদের একনিষ্ঠ হতে হবে। কর্মের আগে অবশ্যই নিয়তকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে। তাহলে আমাদের নামাজ, জাকাত, দাওয়াত সবই সুন্দর হবে। দেশেও শান্তি ফিরে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘন্টা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫