যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইসরাইলের মহান বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করে অভিনন্দন জানানোর এক সপ্তাহ না পেরোতেই রীতিমতো আইন করে মসজিদের মাইকে আজান বন্ধ করার উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু।
এ লক্ষে ফিলিস্তিনের মসজিদসমূহে মাইকে আজান দেওয়া বন্ধ করার প্রস্তাব সম্বলিত বিলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বিশ্বের একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরসাইলের প্রধানমন্ত্রী।
রোববার (১৩ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেছেন, এ প্রস্তাবের খসড়াকে সমর্থন করবেন তিনি।
ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিলটি ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে পাস হলে ফিলিস্তিনের মসজিদের মাইক থেকে আর আজান দেওয়া সম্ভব হবে না। অবশ্য ইসরাইলের এমন পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন।
বিলটি সব ধর্মের উপাসনালয়ের জন্য তৈরি হলেও বিশেষভাবে মসজিদের মাইক ব্যবহারকে টার্গেট করে এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলে মানবাধিকার কর্মীরা মনে করছেন। তারা বলছেন, অন্য কোনো ধর্মের উপাসনালয়ে মাইকের ব্যবহার নেই বললেই চলে।
ইসরাইলি মন্ত্রিসভা বিলটি অনুমোদন করার পর এটিকে চূড়ান্ত ভোটাভুটির জন্য পার্লামেন্টে পাঠানো হবে। বিলটিতে মাইকে আজান দেওয়ার ‘অপরাধে’ মসজিদের মুয়াজ্জিনের জন্য জেল-জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইল এর আগেও একবার মসজিদের মাইকে আজান প্রচার বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিল। তখন এর অজুহাত হিসেবে বলা হয়েছিল ‘জাতিগত ও উস্কানিমূলক বাণী’ প্রচার বন্ধ করার লক্ষ্যে এটি করা হচ্ছে। আর এবার বলা হচ্ছে, উচ্চস্বরে আজান প্রচারের ফলে সাধারণ মানুষ ‘বিরক্ত’ হচ্ছে।
মানবাধিকার কর্মীরা তেল আবিবের এ পদক্ষপকে জনগণের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন। ইসরাইল সরকারের পক্ষ থেকে আজান বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগকে জাতিগত বিদ্বেষ বলে মনে করছেন তারা। তারা বলছেন, বিষয়টি ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ ও অন্যায়’।
উল্লেখ্য যে, ইসরাইল পার্লামেন্টের সদস্য সংখ্যা ১২০ জন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু চতুর্থবারের মতো দায়িত্ব পালন করছেন। ইসরাইলের রক্ষণশীল রাজনীতিক ও গোঁড়া ইহুদি সংগঠক হিসেবে তিনি পরিচিত। তার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আলোচনা বন্ধ রয়েছে।
-ইয়াহু নিউজ অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
এমএইউ/