সম্প্রতি পরিচালিত গ্যালপ জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বের মধ্যে কম ধর্মপালনকারী দেশের মধ্যে আজারবাইজানের অবস্থান ওপরের দিকে। ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছে তাদের জীবনে ধর্মে গুরুত্ব খুবই কম অথবা একেবারেই নেই।
আজারবাইজানে বেশ কিছু ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে। এসব মসজিদের অন্যতম হলো- ঐতিহাসিক বিবি হেবাত মসজিদ। এটি আজারবাইজানের একটি বিখ্যাত মসজিদ। দৃষ্টিনন্দন বিবি হেবাত মসজিদের অবস্থান রাজধানী বাকুতে। বর্তমান মসজিদ ভবনটি তৈরি করা হয় ২০ শতকের শেষের দিকে।
মনোরম এই মসজিদ ভবনটি তৈরি করা হয় প্রাচীন শিরবান ও ইসলামি স্থাপত্যশৈলীতে। ভবনটি নতুন হলে কী হবে, মসজিদের ইতিহাস প্রায় সাত শ’ বছরের। মসজিদে রয়েছে তিনটি গম্বুজ আর দু’টি মিনার।
বিবি-হেবাত মসজিদ প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩ শতকে। এটি নির্মাণ করেন দ্বিতীয় শিরবানশাহ ইবনে দ্বিতীয় আশিতাসশাহ।
তৎকালীন মস্কো সরকারের ধর্মবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ১৯৩৬ সালে মসজিদটি ধ্বংস করা হয়। এ সময় আজারবাইজান ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি অঙ্গরাজ্য।
১৯৯০-এর দশকের প্রথম দিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়। আজারবাইজান স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৯৪ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট হায়দার আলিয়েভ একই জায়গায় বিবি হেবাত মসজিদের জন্য একটি নতুন ভবন নির্মাণের আদেশ দেন।
১৯৯৭ সালে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় এবং মসজিদটি নতুন করে প্রতিষ্ঠা পায়। নতুন ভবন নির্মাণে মসজিদটির প্রাচীন ভবনের স্থাপত্যশৈলী অনুসরণের চেষ্টা করা হয়।
প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী মসজিদটি দেখতে আসেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এমএইউ/