পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সমীক্ষার বরাতে দ্য সানের খবরে এমনটাই বলা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে ২০৭০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যার চিত্রটি কেমন হবে তা দেখানো হয়েছে।
এ ছাড়া ওই সময়ের মধ্যে বিশ্বের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হবে ভারত। সম্প্রতি ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে এ ধারা চলতে থাকলে এ শতাব্দীর শেষের দিকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর থেকে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি হবে। ইউরোপসহ বিশ্বের বহু অঞ্চলে আগামী বছরগুলোতে দ্রুত ইসলাম ধর্মের অনুসারীর লোকের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। গোটা পৃথিবীতেই অন্যান্য ধর্মের তুলনায় দ্রুত হারে বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। অন্যদিকে খ্রিস্টান জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার যেন প্রায় থমকে রয়েছে।
ওই সমীক্ষায় দাবি করা হয়, খ্রিস্টানদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণের হার যতটা বেশি, মুসলমানদের ক্ষেত্রে ঠিক ততটাই বেশি বংশ বৃদ্ধির হার। একজন মুসলিম নারী গড়ে তিনটি শিশু সন্তানের জন্ম দেন। অন্য ধর্মের নারীদের ক্ষেত্রে এ হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
এখন বিশ্বের মোট যুবসমাজের মধ্যে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ২০১০ সালের হিসাবে, ২৩ বছর বয়সী যুবকের সংখ্যা মুসলমানদের মধ্যেই বেশি। ফলে এ যুবসমাজ বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেবে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১০ থেকে ২০৫০ এই ৪০ বছরের মধ্যে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়বে ৭৩ শতাংশ। যা ১৬০ কোটি থেকে বেড়ে হবে ২৮০ কোটি। অন্যদিকে খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়বে ৩৫ শতাংশ।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৭
এমএইউ/