সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের বেইলি রোডের বাসায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও হজ এজেন্সি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে যারা হজ পালন করবেন তাদের নিবন্ধন সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ২৮ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। প্রাক-নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে এমন অভিযোগ নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ায় নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ রাখে এজেন্সি মালিকরা।
এরপর ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ সময়ও নিবন্ধন করা থেকে বিরত থাকে বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকরা। পরবর্তীতে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ায় সরকার। এ সময় মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, কোনো অবস্থাতেই আর সময় বাড়ানো হবে না। বরং নিবন্ধন না করলে নির্ধারিত প্রাক-নিবন্ধিত ক্রমিক নম্বর ২ লাখ ১৭ হাজার ২৮৮ সিরিয়ালের পর থেকে নিবন্ধন শুরু করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় হাব নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। বৈঠকে শর্তসাপেক্ষে নিবন্ধন করতে সম্মত হয় হাব। ফলে নিবন্ধন সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হয়। শেষ পর্যন্ত হাবের দাবি মেনে সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্মমন্ত্রণালয়।
২৩ এপ্রিলের পর হজযাত্রীর প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে। পরে কোটা পূরণ করতে আরও হজযাত্রীর নিবন্ধন করা হবে বলে জানা গেছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ বাংলাদেশি হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
এমএইউ/