পুনরায় হজ গমনেচ্ছুদের ভিসা আবেদন লজমেন্ট করার ক্ষেত্রে এন্ট্রি ফি বাবদ অতিরিক্ত ২ রিয়াল দেওয়ার এ নিয়ম ২০১৫ ও ২০১৬ সাল থেকে কার্যকর বলে জানাচ্ছে সৌদি সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ শাখার সহকারী সচিব এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ খবর জানানো হয়।
হজ এজেন্সি জ অব বাংলাদেশের (হাব) একজন কর্মকর্তা জানান, সৌদির হজ এবং ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে অতিরিক্ত ২ হাজার রিয়াল মওকুফ করার জন্য আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সৌদি কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করে জানায় যে, শুধু বাংলাদেশ নয়, এই নিয়ম হজ এবং ওমরা পালনকারী সব দেশের নাগরিকদের জন্য করা হয়েছে। এটা মওকুফের কোনো সুযোগ নেই।
একজন কর্মকর্তা বলছেন, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে হজে গিয়েও এবার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গী হিসেবেসহ বিভিন্ন কারণে গমনেচ্ছুর সংখ্যা ৭-৮ হাজার হতে পারে। এই যাত্রীদেরই এবার ২ হাজার রিয়াল অতিরিক্ত দিতে হবে। তাদের এই অর্থশোধের অপারগতায় সংশ্লিষ্ট অন্য হজযাত্রীদের গমনে বিঘ্ন ঘটলে তার দায়িত্ব থাকবে এজেন্সিরই।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখা বৃহস্পতিবারই একটি আদেশ জারি করে হজ এজেন্সি, সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে।
নানা কারণে এবার বেশ কিছু হজ ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। ই-ভিসা জটিলতাসহ আরও কিছু কারণের পাশাপাশি পুনরায় হজ গমনেচ্ছুদের ওপর এই অতিরিক্ত ফি নির্ধারণকেও এমন পরিস্থিতি তৈরির জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৭
এইচএ/