তুরস্কের বিখ্যাত শহর ইস্তাম্বুলের ফাতেহ জেলার সুলতান সেলিম মসজিদ কর্তৃপক্ষ শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি উৎসাহ দিতে এমন পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন।
পনেরো বছরের কম বয়েসী শিশু-কিশোররা টানা চল্লিশ দিন ফজরের জামাতে অংশ নিলেই তারা পেয়েছেন একটি করে বাইসাইকেল।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে এমন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। শুক্রবার (১৩ অক্টোর) কর্মসূচির শেষ দিন।
অনেক শিশু-কিশোরের মা-বাবা এমন কর্মসূচি ঘোষণা বেশ খুশি। তারা বলছেন, পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল বড় কথা নয়, বাচ্চারা এতে উৎসাহিত হচ্ছে জামাতে অংশ নিতে; সেটাই বড় বিষয়।
পুরস্কার ঘোষণার পর শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করার জন্য অনেক মা নিয়মিত তাদের সন্তানদের সঙ্গে মসজিদে যান।
পুরস্কারের জন্য রাখা বাইসাইকেলে মসজিদের আঙ্গিনা ছিলো ভরা। বেশ উৎসাহ নিয়ে শিশু-কিশোররা এই কয়দিন নামাজে অংশ নিয়েছেন। আয়োজকদের প্রত্যাশা, এমন উদ্যোগের ফলে শিশু-কিশোরদের মাঝে নামাজের অভ্যাস গড়ে উঠবে।
জামাতে নামাজ আদায়ের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এ বিষয়ে প্রচুর হাদিসও রয়েছে। যেমন এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি লোকে এশা ও ফজরের নামাজের ফজিলত জানতো, তাহলে তাদেরকে হামাগুঁড়ি দিয়ে আসতে হলেও তারা অবশ্যই ওই নামাজদ্বয়ে আসতো। ’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম
হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে (নামাজ শুরুর তাকবিরের সঙ্গে) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করলো- তার জন্য দু’টি নাজাত লিপিবদ্ধ করা হলো- ১. জাহান্নাম হতে ও ২. মুনাফিকি হতে মুক্তি। ’ -সহিহ বোখারি
অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করলো, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে (ইবাদত) করলো। আর যে ফজরের নামাজ জামাতসহ আদায় করলো- সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে (ইবাদত) নামাজ পড়লো। ’ –মুসলিম
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, ১১ অক্টোবর, ২০১৭
এমএইউ/