মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবের দিনগুলোতে ছুটির প্রস্তাব বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত মনে হলেও দেশের কয়েকটি রাজ্যে এ ব্যবস্থা আগে থেকেই বহাল রয়েছে।
‘একটি দেশের যেসব জায়গায় মুসলমানদের সংখ্যা বেশি, সেখানে তাদের ধর্মীয় উৎসবে ছুটি দেওয়া যেতেই পারে, তাই নয় কি!’
এমনটাই প্রস্তাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডেমিজিয়ের (Thomas de Maiziere)-এর।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে নিজের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ)-এর রাজনীতিবিদদের মধ্যেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কেননা এবারের নির্বাচনে দলটির ভোট হারানোর পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে মুসলিমদের প্রতি সদয় ভাবকেই দায়ী করা হচ্ছে, যা তাদের রক্ষণশীল ভাবধারার একেবারে বিপরীত।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক্ষেত্রে যে যুক্তি তুলে ধরেছেন তা অগ্রাহ্য করার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেছেন, ‘১ নভেম্বর ‘অল সোল’স ডে’ বা সর্ব আত্মা দিবস পালন করা হয় মৃত ব্যক্তিদের স্মরণে। এটা কেবল সেসব অঞ্চলেই হয় যেখানে ক্যাথলিকরা বাস করেন। ’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রস্তাবটি তার রাজনৈতিক বন্ধুরা মেনে না নিলেও মুসলমানেরা অনেক আনন্দিত হয়েছেন।
জার্মানির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সভাপতি আমিন মেজিক বলেন, ‘যদি এই প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে জার্মানে বসবাসরত মুসলিমরা অনেক উপকৃত হবে। ’
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য মুসলিম কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের কোম্পানির অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে না। ’
উল্লেখ্য, জার্মানে প্রায় ৫০ লাখ মুসলিম অধিবাসী রয়েছে, যা সেদেশের মোট জনগণের প্রায় ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭
এমএইউ/