ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ফিলিপাইনের মসজিদগুলো মুসলমানদের গর্বের পরিচায়ক

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৭
ফিলিপাইনের মসজিদগুলো মুসলমানদের গর্বের পরিচায়ক ফিলিপাইনের মসজিদগুলো মুসলমানদের গর্বের পরিচায়ক

মুসলিম সংখ্যাগুরু না হলেও ফিলিপাইনের মসজিদগুলো মুসলমানদের গর্বের পরিচায়ক। কারণ, এই মসজিদগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে কিছু পর্যটন কেন্দ্র।

ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। রাজধানীর নাম ম্যানিলা।

৭ হাজার ১০৭টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি আয়তন হচ্ছে- ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭ শ’ ৬৪ বর্গকিলোমিটার।

ফিলিপাইনের জনসংখ্যা ১০ কোটির ওপরে। ফিলিপাইনের দ্য ন্যাশনাল মুসলিম অব কমিশনের হিসাব মতে, বর্তমানে মুসলিম জনসংখ্যার হার প্রায় ১৪ ভাগ। পর্যটকদের কাছে ফিলিপাইন বেশ প্রিয় জায়গা।

অর্থনৈতিকভাবে ফিলিপাইন বেশ সমৃদ্ধ। এশিয়ায় যে দু’টি দেশে ক্যাথলিকেরা সংখ্যাগুরু ফিলিপাইন তার অন্যতম।

ভ্যাটিকান ছাড়া ফিলিপাইনই এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে কোনো বিবাহ বিচ্ছেদ আইন নেই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিপাইন স্বাধীন হয়। ফিলিপাইনে ইসলামের প্রচার-প্রসার হয়েছে আরব ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে। তাদের ইসলামি জীবনযাত্রা ও আখলাক-চরিত্র দেখে ফিলিপাইনের আধিবাসীরা ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হয়।

‍ফিলিপাইনে অনেক ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে। শেখ করিম আল মাখদুম মসজিদটি ফিলিপাইনের প্রথম মসজিদ। যা মিন্দানাওয়ের সিমুনুল প্রদেশের তুবিগ ইন্দানগানে অবস্থিত।

শেখ মখদুম করিম নামে একজন আরব ব্যবসায়ী ১৩৮০ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। পুরোনো মসজিদের স্তম্ভ এখনও নতুন ভবনের ভেতরে পাওয়া যায়।  

শেখ করিম আল মাখদুম মসজিদকে ফিলিপাইনের জাতীয় ঐতিহাসিক কমিশন ন্যাশনাল হিস্টোরিক্যাল ল্যান্ডমার্ক হিসেবে ঘোষণা করেছে। আর সেদেশের জাতীয় জাদুঘর মসজিদটিকে জাতীয় সংস্কৃতির চিহ্ন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

ফিলিপাইনের আরেকটি বিখ্যাত মসজিদের নাম- পিঙ্ক মসজিদ। মসজিদটিকে শান্তি এবং ভালোবাসার রঙে সাজানো হয়েছে। ফিলিপাইনের মগুইন্দানো প্রদেশের দাতুসৌদি আম্পাতাউন শহরে মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের বর্ণিল রঙ একে অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনা থেকে আকর্ষণীয় এবং ব্যতিক্রম হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছে, দিয়েছে আলাদা বৈচিত্র্যময়তা।

ম্যানিলার গোল্ডেন মসজিদও ঐতিহাসিক একটি মসজিদ। ফিলিপাইনের মসজিদগুলোর সঙ্গে রয়েছে ইসলামিক সেন্টার ও অতিথিশালা।

কয়েক বছর ধরে ফিলিপাইনে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি দেওয়া হয়। রয়েছে প্রচুর পরিমাণের হালাল খাবারের দোকান। মুসলমানরা তাদের ঐতিহ্য বজায় রেখে রমজানও পালন করতে পারেন। তারাবির নামাজে খতমে কোরআনের ব্যবস্থা হয় অনেক মসজিদে।

সম্প্রতি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ফিলিপাইনের বেশ কয়েকটি প্রাচীন মসজিদ সংস্কারের জন্য সরকার ১০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।

কর্তৃপক্ষের আশা, মসজিদগুলো সংস্কারের পর পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হবে এসব এলাকা।  

ফিলিপাইনে আড়াই হাজারের মতো মসজিদ রয়েছে। মসজিদ ছাড়াও প্রায় ১২০টির মতো ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্র, প্রচুর দাতব্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফিলিপাইনের মুসলমানরা দাওয়াতে তাবলিগের কাজে সক্রিয়।  

ফিলিপাইনের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল ওয়াহেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।  

ফিলিপাইনের মুসলমানদের অধিকাংশ মিন্দানাও, পালাউন ও মোরোতে বসবাস করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ১ নভেম্বর, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।