ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

দিনাজপুরে আঞ্চলিক ইজতেমা বৃহস্পতিবার শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
দিনাজপুরে আঞ্চলিক ইজতেমা বৃহস্পতিবার শুরু ইজতেমা উপলক্ষে বড় ময়দানে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: দিনাজপুরে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমার আয়োজন করেছে তাবলিগ জামাত। এই আয়োজনে প্রায় অর্ধ লাখের মুসল্লি সমাগমের আশা করছেন আয়োজকরা।

তারা বলছেন, আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হবে। যা শেষ হবে শনিবার (০২ ডিসেম্বর) আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে।

 

জানা যায়, দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার মুসল্লিদের নিয়ে এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। তাই এখানে এ জেলার ১৩ উপজেলার তাবলিগ জামাতসহ সাধারণ মুসল্লিরা অংশ নেবেন।  

সরেজমিনে দেখা যায়, ইজতেমা উপলক্ষে এরই মধ্যে বড় ময়দানে শুরু হয়েছে মুসল্লিদের জন্য প্যান্ডেল তৈরির কাজ। এছাড়া মুসল্লিদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৩০টি নলকূপ, নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য ৪০০ টয়লেট ও রান্নার জন্য পৃথক স্থান থাকবে রাখা হচ্ছে। চলছে অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগের কাজও।  

দিনাজপুর জেলা তাবলিগ জামাতের আমির মো. লতিফুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমায় আল্লাহর দিনের সঠিক পথে চলার উপর বয়ান হবে। দুনিয়া ও আখিরাতে কিভাবে কামিয়াব লাভ করা যায়, মানুষ কীভাবে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগির দিকে রুজু হবে, মানুষের মাঝে হক তথা সঠিক পথ কবুল করার যোগ্যতা তৈরি হবে, মৃত্যুর পর বা আখেরাতের জিন্দেগি কেমন হবে সেসব বিষয়ে ইজতেমায় বয়ান (আলোচনা) হবে।

তিনি জানান, ইজতেমায় ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা একটি জামাত অংশ নেবে। এখানে কাকরাইল মসজিদের মাওলানা জোবায়ের হোসেন, মাওলানা মো. রবিউল হক, মাওলানা মো. মোশাররফ হোসেন ও মাওলানা মো. ফারুক লক্ষ্মীপুরী আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করবেন। বয়ান করবেন স্থানীয় তাবলিগ জামাতের মুরব্বিরাও।

জানা যায়, ২০১৮ সালে টঙ্গীতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমায় দেশের ১৬ জেলা অংশ নিতে পারবে না। এর মধ্যে রয়েছে দিনাজপুরও। বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে না পারায় জেলা পর্যায়ে এই আঞ্চলিক ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকরা বলছেন, আগামীতেও এ ইজতেমার আয়োজন করা হবে।  

আয়োজকরা জানান, ইজতেমায় প্রায় ৫০ হাজার মুসল্লির সমাগম ঘটবে। বিদেশি মেহমান ও তাবলিগ জামাতের বৃদ্ধ সাথীদের জন্য মাঠের পশ্চিম পাশে খাস কামরা (বিশেষ কক্ষ) তৈরি করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।