বিশ্ব ইজতেমার মুরব্বি গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, টঙ্গীর তুরাগ তীরে দুই ধাপের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ শুরু হবে ১২ জানুয়ারি শুক্রবার। আখেরি মোনাজাতে প্রথম ধাপ শেষ হবে ১৪ জানুয়ারি।
তিনি জানান, ইজতেমা উপলক্ষে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এর মধ্যে প্রস্তুতিমূলক কাজ অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পুরোপুরি শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্যান্ডেল, মঞ্চ, মুসল্লিদের পারাপারে তুরাগ নদের উপর ভাসমান সেতু, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সব প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমার ময়দান প্রস্তুতির কাজ তাবলিগ জামায়াতে অংশ নেওয়া মুসল্লিরাই উদ্যোগ নিয়ে করেন।
মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন আরও জানান, মুসুল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ইজতেমা ময়দানে জায়গা কম থাকায় ২০১৬ সাল থেকে ৬৪ জেলার মুসল্লিদের ৩২ জেলা করে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এই ৩২ জেলার মুসল্লিদের মধ্যে আবার ১৬ জেলা করে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিবছর ১৬ জেলা করে দুই ধাপে ৩২ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেন বিশ্ব ইজতেমায়। বাকি ৩২ জেলার মুসল্লিরা যার যায় জেলায় আঞ্চলিক ইজতেমায় অংশ নিতে পারছেন। ২০১১ সালের আগে এক ধাপে অনুষ্ঠিত হতো বিশ্ব ইজতেমা। ওই সময় ৬৪ জেলাসহ বিদেশি মুসল্লিরাও একসঙ্গে অংশ নিতেন।
২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া ৩২ জেলার মুসল্লিরা হলেন- ঢাকা, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, নড়াইল, মাদারীপুর, ভোলা, মাগুরা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পঞ্চগড়, ঝিনাইদহ, জামালপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, নরসিংদী, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, ফেনী, ঠাকুরগাঁও, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা ও পিরোজপুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
আরএস/এএ