সুলতান কাবুস মসজিদ ঘুরে আপ্লুত মোদী টুইটারে লেখেন, ‘এটা একটা সুযোগ ছিল প্রাচীন সুলতান কাবুস মসজিদ ঘুরে দেখার। এখানে দেখার মতো কিছু চমকপ্রদ জিনিস আছে।
মসজিদের প্রতি যথাযথ সম্মান বজায় রেখে জুতা খুলে মসজিদে প্রবেশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি মসজিদের যে অংশ ঘুরে দেখবেন, সেই অংশে মসজিদের কার্পেটের ওপর নীল রংয়ের আলাদা কাপড় বিছানো হয়।
নরেন্দ্র মোদী মসজিদ পরিদর্শনে গেলে তাকে মসজিদের ইমাম ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
ওমান একটি মরুময় দেশ। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ওমানের সুলতান কাবুস চিন্তা করেন তার দেশে একটি গ্র্যান্ড মসজিদ থাকা উচিত। তাই ১৯৯৩ সালে মসজিদটি নির্মাণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্থপতির নকশা নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার পর ১৯৯৫ সালে রাজধানী মাসকাটের বাউশের নামক স্থানে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়।
মসজিদটি নির্মাণে দায়িত্ব পালন করে কার্লিয়ন আলাওই এলএলসি। মসজিদটি নির্মাণে সময় লাগে ছয় বছর চার মাস। মসজিদটি নির্মাণে তিন লাখ টন ভারতীয় পাথর ব্যবহার করা হয়।
মসজিদের ছাদের মাঝখানে একটি মূল গম্বুজ রয়েছে। যা ভূমি থেকে ৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। মসজিদটির ৯০ মিটার উচ্চতার একটি প্রধান মিনার ও ৪৫ দশমিক পাঁচ মিটার উচ্চতার চারটি পার্শ্ব মিনার রয়েছে।
মূল মসজিদে একসঙ্গে সাড়ে ছয় হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। এ ছাড়া মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে।
মসজিদের বাইরের খোলা অংশেও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদের মূল ভবন, বারান্দা, মসজিদের সীমানার ভেতরের অতিরিক্ত স্থান এবং করিডরসহ মসজিদটিতে মোট ২০ হাজার মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম টুকরাবিহীন হাতে বোনা কার্পেট রয়েছে এই মসজিদে, যার ওজন ২১ টন। এটি তৈরিতে সময় লেগেছে চার বছর।
মসজিদটি নির্মাণে জমি ব্যবহার করা হয়েছে চার লাখ ১৬ হাজার বর্গমিটার। ওমানের সুলতান ২০০১ সালের ৪ মে মসজিদটি উদ্বোধন করেন। সুলতান কাবুসের নামে মসজিদটির নামকরণ করা হয় সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদ।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এমএইউ/