১৪ বছর বয়সে তিনি তার দৃষ্টি শক্তি হারান। এখন তার বয়স ২৪।
এর আগে তিনি কুয়েত ও আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন।
এমন সাফল্য অর্জনের প্রেক্ষিতে আকরাম উচার ইসলাম অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন এটাই প্রমাণ করে যে, কোরআনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ার জন্য সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করা সম্ভব।
আকরাম উচার তুরস্কের আংকারার বাসিন্দা। ১৪ বছর বয়সে তিনি দৃষ্টি শক্তি হারান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দৃষ্টি শক্তি হারানোর পর আমি চরম হতাশায় ভুগছিলাম। আমি একা একা থাকতাম। কারো সঙ্গে কথা বলতে ও মিশতে ভালো লাগতো না। এ সময় রেডিওতে কোরআন তেলাওয়াত শুনতাম, মনে অসম্ভব এক প্রশান্তি অনুভব হতো। পরে আমি ইচ্ছা করি কোরআন শেখার। এভাবে ১৫ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনের সঙ্গে আমার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং এরপর থেকে আমার জীবনের নতুন সৌন্দর্যময় অধ্যায় শুরু হয়।
আমি বাসার পাশের একটি মাদরাসায় ভর্তি হই। পরে মাত্র ১৬ মাসে সম্পূর্ণ কোরআন হেফজ করতে সক্ষম হই। এ জন্য আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আহমাদ সারামকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তার সাহস জোগানো, আন্তরিক সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা আমাকে পথ চলতে সাহায্য করেছে।
বর্তমানে তুরস্কের একটি মসজিদে মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছন আকরাম।
-অন ইসলাম অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৮
এমএইউ/