বিশেষত জাপানে মালয়েশিয়ার শরিয়া-সঙ্গতিপূর্ণ পণ্যের বিশাল বাজার তৈরি হতে যাচ্ছে। গত ১০ বছরে জাপানে বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে ব্যাপক হারে পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পাওয়া এর নেপথ্যে বড় ভূমিকা রেখেছে।
সংবাদমাধ্যমে আরো বলা হয়েছে, কিছু জাপানিজ ব্যবসায়ী এমন হোটেল গড়ে তুলেছেন, যেখানে শরিয়তসম্মত খাবার ও পানীয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে এবং সর্বাত্মক হালাল পণ্যের মজুদ রাখা হয়েছে।
জাপানের সবচেয়ে বিখ্যাত ও আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অন্যতম ফুজি মাউন্টেনের পাদদেশের হোটেলগুলোতে হালাল খাবার ও পণ্যের সমাহার রয়েছে। অন্যদিকে জাপানের বিমানবন্দরগুলোতে মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট ও আন্তরিক করে নিতে হালাল খাদ্য ও পানীয় সরবরাহের জন্য বেশি কিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে।
জানা গেছে, গত মাসে জাপানে প্রথমবারের মতো মুসলিম নারীদের পোশাক বিজ্ঞাপনের জন্য টোকিওর ‘হালাল এক্সপোন’র উদ্যোগে একটি ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টোকিওতে আগত মুসলিম পর্যটকদের একটি রেকর্ড রাখা হয়েছে। যাতে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে তিন লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি ইন্দোনেশিয়ান পর্যটক জাপান ভ্রমণ করেছে।
মুসলিম পর্যটক ও স্থানীয় মুসলিমদের কথা মাথায় রেখে হালাল খাদ্য-পানীয় ও পণ্য সরবরাহের যুগান্তকরী ব্যবস্থা অন্যদের চমকে দিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, ২০১৭ সালে পর্যটনক্ষেত্রে ইউরোপের পর বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল জাপান।
এছাড়াও আগামী অলিম্পিক গেমসকে সামনে রেখে মুসলিম খোলেয়াড় ও পর্যটকদের জন্য জাপান সরকারের ব্যবস্থাপনা মুগ্ধ করার মতো। অলিম্পিক গেমস চলাকালে ‘মোবাইল মসজিদ’র অগ্রিম ব্যবস্থা সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টির পাশাপাশি সুনাম কুড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, জাপান সরকারের এমন মুসলিমবান্ধব আচরণ বেশ আলোচিত হচ্ছে। বিমানবন্দরগুলোতে মসজিদ ও অজুর অত্যাধুনিক ব্যবস্থার ভিডিওগুলোও যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
এমএমইউ/