হাব প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাবের এজেন্সিগুলোই হজের বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িত। তাদের সঙ্গে কথা বলে হাজিদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি এবং সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, হাজি সাহেবরা আল্লাহর মেহমান। হাজিদের যেসব সমস্যায় পড়তে হয় সেগুলো সমাধানের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আল্লাহর মেহমানদের চোখ দিয়ে পানি পড়বে-কোনো কিছুর বিনিময়েই তা সহ্য করবো না।
প্রধানমন্ত্রী যেসব কাজ পছন্দ করেন না তার মন্ত্রণালয়ে তেমন কোনো কাজ হবে না উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাটা অত্যন্ত সুন্দরভাবে সমাধান করতে পেরেছি। এখন আমি হজের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা করবো বলে প্রতিজ্ঞা করেছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সৌদি আবর গিয়েছি। সৌদি আরবের যে সব জায়গায় হজের কার্যক্রম পরিচালিত হয়, সেসব জায়গার সুযোগ সুবিধা নিয়ে হজমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে হজ ব্যবস্থাপনাটা সুন্দরভাবে হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রথমে ছয় হাজার হাজি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আবর যেতে পারতেন। বর্তমানে প্রতি বছর এক লাখ ২৭ হাজার মানুষ হজ করতে যাচ্ছেন। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে সম্ভব হয়েছে। আর বর্তমান সরকারের আমলে আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হওয়ার কারণে হাজির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ করে হাজির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সুযোগ-সুবিধা অতোটা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়নি। সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে হাজিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক শেখ মোহাম্মদ আবু দাউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবু ওবায়দা মো. মাকসুদুল হক, জাতীয় ইমাম সমিতির গোপালগঞ্জ শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল্লাহ অল মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. রুহুল আমিন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এসআই