রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ো, যদি না পারো তবে বসে নামাজ পড়ো, যদি তা-ও না পারো তবে ইশারা করে নামাজ আদায় করো। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ১০৫০)
এ হাদিস থেকে সহজেই বুঝে আসে যে, অসুস্থ অবস্থায়ও নামাজ ছেড়ে দেওয়া জায়েজ নেই।
• অসুস্থ ব্যক্তি নামাজের সব রুকন আদায় করতে অক্ষম হলে, যেসব রুকন আদায়ে সক্ষমতা রাখেন, সেগুলো আদায় করবেন।
• কেউ দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ে অক্ষম হলে, বসে বসে রুকু-সিজদা আদায় করে নামাজ আদায় করবেন। একইভাবে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করলে, রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা হলে অথবা আরোগ্য হতে দেরি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা হলে বসে নামাজ আদায় করার অনুমতি আছে।
আর যদি বসে রুকু-সিজদা করতেও অপারগ হয়, তাহলে সে বসে ইশারার মাধ্যমে রুকু-সিজদা করবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১০৪৭, ১০৫০)
• যে ব্যক্তি ইশারায় রুকু-সিজদা করবে, সে রুকু থেকে সিজদাতে সামান্য বেশি ঝুঁকবে। অন্যথায় নামাজ সহিহ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৭৬)
• সিজদা করার জন্য কোনো বস্তুর ওপর বা সেটি ওপরে তুলে সেটাতে মাথা ঠেকিয়ে সিজদা করার প্রয়োজন নেই। (সুনানে কুবরা, হাদিস নং: ৩৮১৯, ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৭৩)
• অসুস্থতার কারণে বসে নামাজ পড়তে অপারগ হলে, শুয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ পড়বেন। তখন অসুস্থ ব্যক্তির পা কিবলার দিকে করে শোয়াতে হবে। তবে মাথাকে সামান্য ওপরে তুলে শোয়র ব্যবস্থা করতে হবে, যেন চেহারা কিবলার দিকে হয়। এরপর ইশারা করে রুকু-সিজদা করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৭৩)
• শুধুমাত্র মাথা দিয়ে ইশারা করলেও তা রুকু-সিজদার স্থলাভিষিক্ত বলে বিবেচিত হবে। ইশারা কেবল চোখ বা অন্তরে করলে নামাজ শুদ্ধ হবে না। (সুনানে কুবরা, হাদিস নং: ৩৭১৯)
• অসুস্থ ব্যক্তি মাথার মাধ্যমে ইশারা করতে অক্ষম হলে, তার অবস্থা বিবেচনা করা হবে। তখন দেখতে হবে, এভাবে তিনি কতক্ষণ থাকেন। পাঁচ ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর যদি অবস্থার উন্নতি ঘটে, তাহলে ওই সব নামাজ মাথা দিয়ে ইশারা করে কাজা করে নেবে। আর যদি এর চেয়ে বেশি সময় পার হওয়ার পরও উন্নতি না হয়, তবে ওই সব নামাজ তার দায়িত্বে আর থাকবে না। অর্থাৎ এগুলো আদায় করা লাগবে না। (মুআত্তা মুহাম্মদ, হাদিস নং: ২৭৮, দারা কুতনি, হাদিস নং: ১৮৮৩)
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এমএমইউ