এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় মসজিদ হিসেবে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে।
কবে নাগাদ ঘোষণা করা হবে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় মসজিদ হিসেবে ঘোষণার জন্য প্রস্তাবনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হতে হবে।
জাতীয় মসজিদের জন্য প্রস্তাবনায় বলা হয়, বায়তুল মোকাররমকে জাতীয় মসজিদ ঘোষণা করা হলে এই মসজিদের ভাব-গাম্ভীর্য আরো বাড়বে। আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হলে দেশ-বিদেশে ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে সরকারের মর্যাদা আরো উজ্জ্বল হবে। তবে জাতীয় মসজিদ ঘোষণার জন্য কোনো অর্থের প্রয়োজন পড়বে না বলে জানান কর্মকর্তারা।
জাতীয় মসজিদ ঘোষণার জন্য আলাদা কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা না হলেও মুজিববর্ষে মসজিদটির কিছু অসমাপ্ত কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধার মধ্যে মসজিদটির উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক।
‘বায়তুল মোকাররম মসজিদের আধুনিকায়ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে মসজিদটি দৃষ্টিনন্দন, আধুনিকায়ন ও সৌন্দর্য বাড়াতে প্রকল্প থাকবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ভিত্তিপ্রস্তর করা বায়তুল মোকাররম মসজিদের মিনারের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, বায়তুল মোকাররমকে জাতীয় মসজিদ হিসেবেই জানি। কিন্তু কাগজে-কলমে স্বীকৃতি নেই।
মন্ত্রিসভায় জাতীয় মসজিদের প্রস্তাব অনুমোদিত হলে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে বায়তুল মোকাররমের।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
এমআইএইচ/এএ