ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

ঝিনাইদহে বিশ্বমানের দৃষ্টিনন্দন বেলাট মসজিদ

এম রবিউল ইসলাম রবি, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
ঝিনাইদহে বিশ্বমানের দৃষ্টিনন্দন বেলাট মসজিদ

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেলাট গ্রামের নামানুসারে নির্মিত হয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০১৯ সালে এ মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

 

তিনতলা বিশিষ্ট এ মসজিদের নির্মাণ কাজ এখনো চলমান রয়েছে। দুই একর জমির ওপর ২০১৯ সালের শেষের দিকে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন করা হয়। প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটি নির্মাণ করেছে আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশন।  

মসজিদটির রং করা হয়েছে আকাশের রঙে। সাদা ও হালকা আকাশি রঙের সংমিশ্রণে নির্মিত মসজিদটিতে রয়েছে আধুনিক দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ। মসজিদটির চারপাশের প্রাচীরেও রয়েছে ব্যতিক্রমী নকশা। মসজিদে ঢুকেই ডানে রয়েছে বিশাল গোরস্থান ও বামে রয়েছে বিভিন্ন ফুলের বাগান। নারী-পুরুষের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ওযু ও নামাজের সুব্যবস্থা। প্রায় এক হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন এ মসজিদে। মসজিদটি এক নজর দেখতে ও নামাজ আদায় করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা আসছেন প্রতিনিয়ত। মসজিদের সঙ্গে রয়েছে বিশালাকার মিনার।

জানা যায়, মসজিদের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ও নারীদের নামাজের সুব্যবস্থা আছে। তৃতীয় তলায় রয়েছে হাফেজি মাদরাসা। এক টানা দুই বছর ধরে মসজিদটির নির্মাণে কাজ চলছে। মসজিদটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। দেয়ালে লাগানো হয়েছে আল্লাহ ও মুহাম্মদ (সা.) লেখা নানা রঙের দামি টাইলস।
 
স্থানীয় অবাব্দুল খালেক বাংলানিউজকে বলেন, আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশন ২০১৯ সালে এ মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করে। তৃতীয় তলা বিশিষ্ট এ মসজিদের নির্মাণ কাজ এখনো চলছে। বারবাজারে অনেক পুরাতন মসজিদ আছে। কিন্তু আমাদের এ বেলাট গ্রামে বিশ্বমানের মসজিদ দেখতে প্রতিদিন অনেকে আসছেন।  

এমনকি পুরুষ ও নারীদের আলাদা আলাদা ওজুর ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের গ্রামে এখন প্রতিদিন এ মসজিদটি দেখতে বাইরে থেকে শত শত দর্শনার্থী আসছেন।

মসজিদের ইমাম আল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, আগে এখানে ছোট একটা মসজিদ ছিল। তখন নামাজের সময় তেমন মুসল্লি ছিল না। এ মসজিদটি নির্মাণের পর থেকে মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি অনেক বেশি হয়। শুক্রবার অন্যান্য এলাকা থেকেও অনেকে এসে জুমার নামাজ আদায় করেন।

তিনি আরও বলেন, আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।  এ মসজিদের তৃতীয় তলায় এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদরাসা রয়েছে। মসজিদের শিক্ষার্থীদের থাকা, খাওয়ার খরচ সবই আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশন দিচ্ছে। এমন একটি মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দেওয়ায় আমি আল্লাহর কাছে শুররিয়া আদায় করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।