ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মানিকগঞ্জে ট্রাকচালক-হেলপার হত্যায় ৪ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
মানিকগঞ্জে ট্রাকচালক-হেলপার হত্যায় ৪ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে ট্রাকচালক ও হেলপার হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

এছাড়া পেনাল কোডের ২০১ ধারার অপরাধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।  

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বড়াকৈর গ্রামের বদর উদ্দিন, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মো. ইসলাম ওরফে কালু, একই গ্রামের ইয়াকুব আলী শেখ ও গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর উপজেলার হারবাইদ গ্রামের বিল্লাল শিকদার।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি গ্রামের বাবু মিয়া, ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার কলমা গ্রামের শাহ আলম, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের বাবুল শেখ, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাহপাড়া উপজেলার মধুপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেন ও মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আখের আলী।  

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ৬ আগস্ট সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা স্থল বন্দর থেকে পাথর নিয়ে ট্রাক চালক জয়নাল (৪০) ও হেলপার রুবেল (২৮) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর যাচ্ছিলেন। রাত ২টার দিকে আসামিরা মানিকগঞ্জ থেকে ট্রাকটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। এরপর চালক জয়নাল ও হেলপার রুবেলকে হত্যা করে তাদের মরদেহ রাতেই মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার বালিয়াখৈড়া ব্রিজের কাছে ফেলে দেন। পরদিন ৭ আগস্ট ঘিওর থানা পুলিশ নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন ও ট্রাকচালক জয়নালের ভাই হারুনার রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

আলোচিত এ হত্যা মামলাটি প্রথমে ঘিওর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক ও পরে মামলাটি তদন্ত করেন ডিবির এসআই আব্দুস সালাম। মামলাটি তদন্ত শেষে নয়জনের নামে গত ২০১১ সালে ৩০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। আসামিদের মধ্যে শুধুমাত্র নয় নম্বর আসামি আখের আলী রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক। বাকি আসামিরা বিভিন্ন সময় আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপন করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি মথুর নাথ সরকার এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তোফায়েল হোসেন ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।