ঢাকা: গত বছর জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্য এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ ব্যক্তিসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
রোববার (২০ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে সময় আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের নয়জন সাবেক মন্ত্রীসহ ৩৯ জন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এর মধ্যে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ১৪ জনকে, কেরানীগঞ্জের বিশেষ কারাগার থেকে সাবেক এনটিএমসির পরিচালক জিয়াউল আহসানসহ ১৪ জন, কাশিমপুর কারাগার থেকে সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিসহ ১৫ জন এবং নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
হাজির করা আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম), সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমসহ এমপি ও পুলিশ কর্মকর্তারা।
মুগ্ধ হত্যা মামলা এবং নরসিংদী, কক্সবাজার, সিলেটসহ মোট সাত মামলায় আজ তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ইএসএস/আরআইএস