ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: ত্রিশালের সাত্তারকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
মানবতাবিরোধী অপরাধ: ত্রিশালের সাত্তারকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত ময়মনসিংহের ত্রিশালের আব্দুস সাত্তারকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।  

চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আব্দুস সাত্তারসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এরপর কারাবন্দি আসামিরা আইন অনুসারে এক মাসের মধ্যে আপিল করেন। ওই আপিল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আব্দুস সাত্তার জামিন আবেদন করেন।   ২০১৫ সালের ১৯ মে তৎকালীন সংসদ সদস্য হান্নানসহ তিনজনের নামে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন।

মামলায় জাতীয় পার্টির তৎকালীন সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলার আসামি করা হয় মোট আটজনকে।

এ মামলায় ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদ সদস্য হান্নানসহ আটজনের নামে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ২৭ মে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার শেষে ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। আর ১৬ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মামলার আসামিরা ছিলেন- এম এ হান্নান, এম এ হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ, ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, মিজানুর রহমান মিন্টু, মো. হরমুজ আলী, ফখরুজ্জামান, আব্দুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রব্বানী।

এর মধ্যে কারাবন্দি থাকা অবস্থায় এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ এবং অপর এক আসামি মিজানুর রহমান মন্টু মারা যান।

তাদের নামে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১১ জুলাই হান্নানসহ আটজনের নামে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত তদন্তকাজ সম্পন্ন করেন।

একই বছরের ১ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে এ মামলার আট আসামির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওইদিনই ঢাকায় গ্রেপ্তার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশালে গ্রেপ্তার হন বাকি তিনজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।