বরিশাল: প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় প্রতারক চক্রের সদস্য মা এবং মেয়েকে কারাদণ্ড দিয়েছেন বরিশালের একটি আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বরিশালের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মাসুদুর রহমান এ দণ্ড দেন বলে আদালতের স্টেনো মো. মেহেদি হাসান জানিয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের হৃদয়নন্দি এলাকার আলমগীর হাওলাদারের স্ত্রী জাহিদা বেগম ওরফে সাহিদা বেগম ও তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার ওরফে সুরাইয়া। রায় ঘোষণার সময় তারা অনুপস্থিত ছিলেন।
রায়ে মা সাহিদা ওরফে জাহিদা বেগমকে তিন ধারায় ১৩ বছর কারাদণ্ড ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৮ মাসের কারাদণ্ড এবং মেয়ে সুমাইয়াকে তিন বছর কারাদণ্ড এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার বরাতে স্টেনো জানান, প্রতারক চক্রের সদস্য দণ্ডিত মা ও মেয়ে মুলাদী পৌরসভার চরডিক্রি এলাকার একটি বাসা ভাড়া নেন। পরে মুলাদী পৌরসভার গোডাউন রোডের দেশবাংলা ফার্নিচারের মালিক আবুল কালামের সঙ্গে পরিচয় হয়। তখন তাকে জানান, জাহিদা ওরফে সাহিদার ছেলে বিদেশে থাকেন। তারা জানান মুলাদী-হিজলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় একশ একর জমি কিনতে বায়না করেছেন। সেখানে ছেলে চালের মিল দেবেন। বায়নার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দলিল করতে হবে। এ জন্য টাকার প্রয়োজন। মা ও মেয়ের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবুল কালাম বিভিন্ন জনের কাছ থেকে এনে ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ২৬ লাখ টাকা দেন। এজন্য একশ টাকার তিনটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি স্বাক্ষর করে ও টাকার সমপরিমাণ চেক দেন। টাকা ফেরত চাইতে গেলে দেই দিচ্ছি বলে টালবাহানা করেন। একপর্যায়ে তারা আত্মগোপনে চলে যান। পরে তাদের দেওয়া চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন চেকের মালিক মেয়ে ও স্বাক্ষর তার মায়ের।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৩ জুন আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী। বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এ রায় দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
এমএস/আরএ