ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নারী নির্যাতন আইনে জনকণ্ঠ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা চলবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৬
 নারী নির্যাতন আইনে জনকণ্ঠ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা চলবে

ঢাকা: নির্যাতিতা এক নারীর পরিচয় ও ছবি প্রকাশের অভিযোগে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

ফলে বিচারিক আদালতে জনকণ্ঠ সম্পাদকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে দায়ের হওয়া এ মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

ছয়জন হচ্ছেন- জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ, উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান, নির্বাহী সম্পাদক বোরহান উদ্দিন (মরহুম), প্রতিবেদক আলী আজগর স্বপন, শংকর কুমার দে ও কামরুল হাসান।

জনকণ্ঠ সম্পাদকের করা আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৮ এপ্রিল) এ রায় দেন।

আদালতে জনকণ্ঠের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শাহজাদা আল আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু।

নির্যাতিতা ওই নারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা।

হেলাল উদ্দিন মোল্লা জানান, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে ২০০১ সালে মিরপুর থানায় মামলা করেন এক নারী।
পরে ২০০২ সালের ৪ জানুয়ারি জনকণ্ঠ দু’টি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে ওই নারীর পরিচয় ও ছবি প্রকাশিত হয়।

এরপর ২০০২ সালের ১৯ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধনী) আইনের ১৪ (১) ও (২) ধারায় জনকণ্ঠ সম্পাদকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন ওই নারী।

আইনের ১৪ (১) ধারা বলা হয়েছে, ‘এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হইয়াছেন এই রুপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘঠিত অপরাধ বা তৎসম্পর্কিত আইনগত কার্য ধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোন সংবাদপত্রে বা অন্য কোন সংবাদ মাধ্যমে এমন ভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাইবে যাহাতে উক্ত নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়’।

১৪ (২) ধারায় বলা হয়, ‘উপধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করা হইলে উক্ত লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যাক্তিবর্গের প্রত্যেকে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ডে বা অনুর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন’।

২০০২ সালের ১৯ জুন ওই মামলায় জনকণ্ঠের সম্পাদক, উপদেষ্টা সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন বিচারিক আদালত।  

২০০৩ সালের জানুয়ারিতে ওই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করনে জনকণ্ঠ সম্পাদকসহ অন্যরা।
এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০০৩ সালে হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।