ঢাকা: ড্যান্ডি ডায়িং ঋণখেলাপির মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন বিবাদী প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন আহমেদ। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ১৬ বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা মামলাটির বাদী সোনালী ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) ব্যাংকটির সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হন। এ সময় নাসরিন আহমেদের পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময়ের আবেদন জানান তার আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
সময়ের আবেদন তিনি বলেন, মামলাটির ইস্যু গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। তার আদেশের কপি এখন পাওয়া যায়নি। তাই সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখার আরজি জানান তিনি।
সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস সাক্ষ্যগ্রহণে কোনো স্থগিতাদেশ না থাকায় সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ সময় মামলার ৯ নম্বর বিবাদী নাসরিন আহমেদের পক্ষে তার আইনজীবী আসাদুজ্জামান বিচারকের প্রতি লিখিতভাবে অনাস্থা জানান। এরপরই বিচারক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করে বিকাল নাগাদ হাইকোর্টের আদেশের কপি দাখিল করতে বিবাদীকে নির্দেশ দেন। অন্যথায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে আদেশ প্রদান করেন।
খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ অন্য বিবাদীদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা হাজিরা প্রদান করেন।
গত ০২ ফেব্রুয়ারি বিচারক ইস্যু গঠন করলে মামলাটির বিচার শুরু হয়।
২০১৩ সালের ০২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেড, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান, প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদেরআবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করে।
২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুন:তফসিলিকরণও করা হয়।
কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বারবার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো অর্থ প্রদান করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৬
এমআই/এএসআর